লিহান লিমা: [২] জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে একত্র করতে যা করা প্রয়োজন তা করবে জাতিসংঘ। দ্য হিন্দু
[৩]সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, ‘নভেম্বরের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রতি সম্মান রাখা, সেনা অভ্যুত্থানে আটককৃতদের মুক্তি ও গণতন্ত্রে ফেরার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমি বিশ্বাস করি সেনা অভ্যুত্থান রদ করার জন্য সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের সব সম্ভাব্য বিষয়গুলো বিবেচনা করা দরকার।’
[৪]জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিক জানান, মিয়ানমারের ডেপুটি কমাণ্ডার ইন চিফ জেনারেল সোয়ে উইনকে জানানো হয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিব এই অভ্যুত্থানের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে গণতান্ত্রিক পালাবদল নিশ্চিত করতে বলেছেন এবং অতিসত্ত্বর সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তিসহ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তনের কাজ এগিয়ে নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
[৫]গুতেরেস জানান, শুক্রবার মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিশ্চিয়ান স্কারনার বার্গনার মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন ও দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়ে জাতিসংঘের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে স্কারনার মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক শাসন ফিরিয়ে আনতে ১০সদস্যের আঞ্চলিক আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছেন। আসিয়ান সদস্যভূক্ত দুই দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া মিয়ানমারের অভ্যুত্থানের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। দুই দেশই রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
[৬]২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময় আশ্রয় নেয় ৩ লাখের মতো রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়েছে।