আখিরুজ্জামান সোহান: [৩] রাজধানীর অভিযাত রেস্তোরা থেকে পাবলিক পরিবহন কিংবা কমিউনিটি সেন্টার সবই চলছে পুরোদমে তবে নেই স্বাস্হ্য সুরক্ষার বালাই। সচেতনতার এমন ঢিলেঢালা ভাব গোটা দেশ জুড়েই।
[৪] যদিও দেশে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রেও সচেতনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। পাড়া-মহল্লায় ঘোরাঘুরি, আড্ডা কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তারা।
[৫] শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন পার্ক, হোটেল ও শপিংমলগুলোয় নানা বয়সি মানুষকে মাস্কবিহীন ঘুরতে দেখা যায়। একজনের গা ঘেঁষে বসে আছেন আরেকজন। এসব দৃশ্য দেখে বোঝার উপায় নেই যে দেশে প্রতিদিন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতু্্যর ঘটনা ঘটছে।
[৬] এদিকে শীতের শুরুতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সরকার ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু অনেকেই তা মানছেন না। রাজধানীসহ সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত শুরুতে তৎপর থাকলেও এখন আর কোনো অভিযান দৃশ্যমান নেই। ফলে বেশিরভাগ মানুষ হোক শিক্ষিত কিংবা দিনমজুর কেউ মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনবোধ করছেন না, যারা ব্যবহার করছেন তারা অনেকেই থুতনির নিচে রেখে ঘোরাফেরা করছেন।
[৭] একইচিত্র রাজধানীর গণপরিবহণ, বাজারগুলোতেও। বিভিন্ন শপিংমল ও কর্পোরেট অফিসেও চলছে দায়সারা হাইজেনিক ব্যবস্থা। নূ্যনতম হাত ধোয়ার ব্যবস্থা এখন খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না। অনেক দোকান-রেস্টুরেন্টে মালিক ও কর্মচারীদের মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গস্নাভস। চালক ও হেলপারও মাস্ক ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করছেন। শুধু ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ দেখলে তারা মাস্ক পরেন। মাস্ক না পরার পেছনে নানা অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন পথচারীরা, আবার না পরার কারণ জিজ্ঞেস করলে ক্ষেপে উঠছেন কেউ কেউ।
[৮] মুখে মাস্ক ছাড়া সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের মাস্ক পরিধান করা, মাস্ক পরিধান বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সামনে দৃশ্যমান স্থানে 'মাস্ক ব্যবহার ব্যতীত প্রবেশ নিষেধ' বা 'নো মাস্ক নো এন্ট্রি' অথবা 'মাস্ক পরিধান করুন, সেবা নিন বা ওয়্যার মাস্ক গেট সার্ভিস' বিষয়ে ব্যানার স্থাপন করতে জারিকৃত আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয় সরকারি নির্দেশনায়।
[৮] এছাড়া মাস্ক ছাড়া অফিস, আদালত, শপিংমল, বাজার, সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে না যাওয়া এবং কোনো সাহায্য, সহযোগিতা বা সার্ভিস না পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে বলেও নির্দেশনায় উলেস্নখ করা হয়।
[৯] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন এলেও দেশের অধিকাংশ মানুষকে এর আওতায় আনা বেশ সময় সাপেক্ষ। মানুষ প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ২৩ বার হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ করে। তাই হাত থেকে মুখে সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :