আব্দুল্লাহ মামুন : [২] কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে ইচ্ছামতো দাম বাড়াতে না পারে সেদিকে সরকারের কঠোর নজরদারি দরকার।
[৩] তেল আমদানি ও বাজারজাতকারী শীর্ষস্থানীয় একটি কোম্পানি গত সপ্তাহে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) নির্ধারণ করেছে ১৪০ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
[৪] ড. শামসুল আলম বলেন, কোন পণ্য বাজারে আসবে, পণ্যের দাম কী হবে, কে কতো দামে পণ্য আমদানি করছে তার চালান সরকার বা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে থাকা উচিত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিধি দ্বারা পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করবে। পণ্যের পাইকারী ও খুচরা মূল্য কতো হবে, সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে বাজারে সেই দামে ব্যবসায়ীদের পণ্য বিক্রয় করতে বাধ্য করবে এবং ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ করবে।
[৫] শুধু ভোজ্য তেল নয়, সকল পণ্যের ক্ষেত্রে ভয়ংকর বিপর্যয় ঘটেছে। ব্যবসায়ীরা যখন তখন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে না। ভোজ্যতেলের দাম যেহেতু বিশ্ববাজারে বেড়েছে, সেক্ষেত্রে সরকারের বাড়তি পদক্ষেপ দরকার। প্রয়োজনে সরকার প্রান্তিক জনগণকে এ সকল পণ্য সরবরাহ করে মূল্যবৃদ্ধির অভিঘাত থেকে সুরক্ষা দিতে ব্যবস্থা নেবে।
[৬] সার্বিক দিক থেকে বাজারের ওপরে সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। সিন্ডিকেট করে এসকল নিয়ন্ত্রণ ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। বাজার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে না, নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসায়ীরাÑ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব