রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের কৃষক আন্দোলনে সমর্থনে টুইট করার পর দিল্লি পুলিশ গ্রেটা থানবার্গের বিরুদ্ধে এই এফআইআর করে। দিল্লি পুলিশের বক্তব্য, বিদ্রোহী কৃষকদের উদ্দেশে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন গ্রেটা। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] এফআইআর-এর পর ফের আরেক টুইট করে গ্রেটা থানবার্গ বলেন তিনি সবকিছুর পরেও কৃষকদের পক্ষেই রয়েছেন। কোনও হুমকি বা ঘৃণাতে এটা বদলাবে না।
[৪] মঙ্গলবার রাতেই নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে ভারতের কৃষক আন্দোলন সম্পর্কিত একটি খবরের লিঙ্ক শেয়ার করেছিলেন গ্রেটা। সেই লিঙ্ক শেয়ার করে ভারতে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি, টুইট করেন কীভাবে কৃষক আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। ফেসবুকে তার ফলোয়ারদের উদ্দেশে আবেদন করেন, ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি আপনার নিকটবর্তী ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
[৫] একই সঙ্গে একটি গুগল ডকুমেন্ট শেয়ার করেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল ভারতের যে ইমেজ আছে বিশ্বে চা ও যোগের জন্যে, সেটাতে বদল আনতে হবে। বিভিন্ন ভারতীয় শিল্পপতিদের ব্যবসা টার্গেট করার কথাও বলা হয়। এমনকী কৃষি আইন যদি প্রত্যাহার হয় তাহলেও লড়াই থামবে না, যুদ্ধ সবে শুরু হয়েছে, এই কথাও বলা হয়।
[৬] গ্রেটার পাশাপাশি পপস্টার রিহানাও টুইট করেন কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে। একের পর এক সেলেব এভাবে মুখ খোলায় স্বাভাবিক ভাবেই আন্তর্জাতিক মহলে অস্বস্তিতে পড়ে ভারত। বস্তুত, ভারতে কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের এ হেন প্রতিক্রিয়া একেবারেই ভাল চোখে দেখেনি নয়াদিল্লি।
[৭] বুধবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে বলেন, কোনও প্রচারই ভারতের ঐক্যকে ভাঙতে পারবে না। ভারত উন্নতির নতুন শিখরে পৌঁছবেই। কোনও প্রচারই তাকে নিরস্ত করতে পারবে না। ভারতের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে প্রগতি, অন্য কিছু নয়। ভারত ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রগতির দিকে এগিয়ে যাবে।
[৮] স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি ভারতীয় সেলেবরা টুইট করে বলেন, ভারত ঐক্যবদ্ধ আছে। এরা হলেন সাবেব ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলি, বলিউডের অভিনেতা অক্ষয় কুমার ও অজয় দেবগণ। গ্রেটা ও রিহানাকে আক্রমণও করেন অনেকে। গ্রেটাকে ‘স্পয়েল্ট ব্র্যাট’ বলে মন্তব্য করেন কঙ্গনা রানাওয়াত।