শিমুল মাহমুদ: [২] ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট প্রতিমাসে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন পাঠানোর কথা থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালানে এসে তা সম্ভব হচ্ছে না। এ মাসে সেরামের টিকার দ্বিতীয় চালানে আসতে পারে ২৫ থেকে ৩০ লাখ।
[৩] একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, মার্চেও একই পরিমাণ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। পরবর্তী তিন চালানে ঘাটতি ভ্যাকসিনগুলো পাঠাবে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ি ছয় মাসে মধ্যেই তারা ৩ কোটি ভ্যাকসিন পাঠাবে বাংলাদেশকে।
[৪] কারণ হিসেবে জানা যায়, কোভেক্সের মতো যেসব প্রতিষ্ঠান গবেষণার জন্য অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করেছে; তাদের প্রয়োজন মতো ভ্যাকসিন দিতে হিমসিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এই দুই মাসে তারা সেখানে সরবরাহ বাড়াবে।
[৫] বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, টিকার দ্বিতীয় চালান ফেব্রুয়ারি মাসের ঠিক একই সময়ে আসবে পারে। দুই-একদিন আগে পরে হতে পারে।
[৬] এদিকে প্রথম মাসের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে এনে গণটিকাদান পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সরবরাহ পরিস্থিতিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আমরা চিন্তা করেছি, যদি কোনো কারণে সাপ্লাই চেইন অব্যাহত রাখতে না পারি, তাহলে টোটাল ব্যবস্থাপনা ভেস্তে যাবে। সেজন্য আমরা হাতে থাকা টিকা অর্ধেক করে পুরোপুরি কমপ্লিট ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :