গাজীপুর প্রতিনিধি: [২] এঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভিকটিম নিজে বাদি হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন কাশিমর থানায় মামলা দায়েরে পর তাদের গ্রেফতার করা হয়।
[৩] গ্রেফতারকৃতরা হলো, গাজীপুর মেট্রোপলিন কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ লিয়াকত মার্কেট এলাকার মো: আজিজুল খানের ছেলে মো: জাহাঙ্গীর আলম শুভ (২৩), ওই এলাকার ভাড়াটিয়া টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার খৈলসিন্দু (উয়াশী) এলাকার মো: শফিকুল ইসলামের ছেলে মো: সুমন মিয়া (২৭), ফরিদুপুর জেলার ভাঙ্গা থানার ভদ্রাশন এলাকার মো: মোতালেব তালুকদারের ছেলে মো: রাসেল তালুকদার (৩৫), নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার সমসপাড়া এলাকার মো: কোরান সরদারের ছেলে মো: জহির উদ্দিন (৩২), রংপুর সিটি কর্পোরেশনের হারাগাছ থানার গোফটারী থানার মো: বকুল মিয়ার ছেলে মো: সাহাবুল আইজুল (৩৭)।
[৪] মামলার বাদি ভিকটিম কিশোরী উল্লেখ করেন, ইউটিউব চ্যানেলের এক অভিনেত্রীর মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ভিকটিমের সাথে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম শুভ যোগাযোগ করে স্টেজ প্রোগ্রামের প্রস্তাব দেয়। পরে উপযুক্ত পারিশ্রমিকের কথায় রাজি হয়ে গত ৩১ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কাশিপুরের হাতিমারা স্ট্যান্ডে এসে পৌছায়। পরে সেখানে অপেক্ষমান অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরসহ আরো দু’জন ভিকটিমকে সাথে নিয়ে ওই এলাকার বর্ষাডেঙ্গা রাসেল তালুকদারের টিনসেট বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে কোন লোকজন না থাকায় ভিকটিম জিজ্ঞেস করলে তাকে জানানো হয় রাসেলের স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গেছে। ওই রাতেই বাড়ির মালিক রাসেলের বেডরুমে অভিযুক্তরা ভিকটিমকে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অভিযুক্তরা ধর্ষণের সময় একে অপরের নাম ধরে ডাকার কারনে ভিকটিম তাদের নাম গুলো জানতে পারে। এক পর্যায়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে ভিকটিম কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে বিস্তারিত বিষয়টি ইউটিউব চ্যানেলের অভিনেত্রীকে জানান। পরে তাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কৌশলে অভিযুক্তদের ঠিকানা সংগ্রহ করে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।
[৫] গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. জাকির হাসান জানান, থানায় এজাহার দায়ের করা পরে কাশিমপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।