লিহান লিমা: [২] সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করার পর দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞারোপের হুমকি দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। সম্প্রতি অং সান সুচির দল নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয় অর্জন করার পর নির্বাচনে জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগ তুলে সু চি সহ অন্যান্য নির্বাচিত নেতাদের গ্রেপ্তার করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ডেইলি মেইল/সিএনএন
[৩]এক বিবৃতিতে বাইডেন সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলকে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি আঘাত আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেয়া বা জনগণের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কখনোই সেনাবাহিনীর যাওয়া উচিত নয়।’ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগেরও আহ্বান জানানো হয়।
[৪]মিয়ানমার গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর থেকে গত এক দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। বাইডেন জানান, এই নিষেধাজ্ঞা খুব শীঘ্রই পর্যালোচনা করা হবে। তিনি আরো বলেন, ‘যখনই কোথাও গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে তার মোকাবেলা করবে।’
[৫]ইউরোপিয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা জানান, ‘মিয়ানমার সেনা নিয়ন্ত্রিত থাকা অবস্থায় এটি অবশ্যই কালোতালিকাভূক্ত থাকবে। দেশটির ওপর অনেক নিষেধাজ্ঞা রোপ করা হবে। অগণতান্ত্রিক শাসনের ওপর নিষেধাজ্ঞারোপ করতে ইইউ বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করবে না।’
[৬] ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে সু চীর গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনী’ বলে মন্তব্য করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারাও অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে। মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের বিরোধীতা করা চীন দেশটির সব পক্ষকে মতপার্থক্য কাটিয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন এটিকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে অভিহিত করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :