কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] জর্ডানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বেটারিং লেবার মোবিলিটি ফর বেটারিং ইন্টারকানেক্টিং ইকনমিস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানিয়ে দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বলেন, পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশই একাধারে অভিবাসী প্রেরণকারী ও গন্তব্য রাষ্ট্রের ভুমিকা পালন করে।
[৩] শ্রম অভিবাসন অভিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি অভিবাসীর নিজের দেশ ও গন্তব্য রাষ্ট্রে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখে। তাই অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও মানসম্মত জীবন নিশ্চিত করার মাধ্যমে সকলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।
[৪] রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় একটি নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনার অগ্রাধিকার বিষয়।
[৫] প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, নিরাপদ ও নৈতিক অভিবাসন নিশ্চিত করার জন্য সরকার এককভাবে চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরে আসা অভিবাসী পুনরায় সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।
[৬] বাংলাদেশ সরকার মানসম্মত অভিবাসন নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
[৭] ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন, মধ্য প্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক অনুবিভাগের মহাপরিচালক, জর্ডানে আইওএম মিশন প্রধান, আইএলও এর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক শ্রম অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ও জর্ডানের আন্তর্জাতিক সংস্থা, মেডা'র (এম-ই-ডি-এ) কান্ট্রি ডিরেক্টর।