ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদিতে প্রবাসীর স্ত্রী সাবিনা আক্তারকে (২০) গলা কেটে হত্যা মামলায় প্রেমিক পলাতক সাইফুজ্জামান তানভীরকে (২৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ ভৈরব ক্যাম্প সদস্যরা। হত্যাকারী সাইফুজ্জামান তানভীর কটিয়াদি থানাধীন দক্ষিণ চাতল গ্রামের সাইফুজ্জামান সাঈদ মিয়ার ছেলে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক পৌনে বারোটার সময় নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানাধীন বিরিসিরি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। নিহত সাবিনা আক্তার কটিয়াদি পৌরসভার কমরভোগ এলাকার মো. ফুলু মিয়ার মেয়ে এবং সৌদি প্রবাসী দ্বীন ইসলামের স্ত্রী।
ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানায়, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারী তানভীরকে গ্রেফতার করে র্যাব। ঘটনার এক মাস আগে কটিয়াদি বাজারে তানভীর ও সাবিনার পরিচয় ঘটে এবং উভয়ের মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান করেন। সেই থেকে উভয়ের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একাধিকবার সাবিনার বাবার বাসায় মিলিত হয় তারা।
পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ৫ জানুয়ারি রাত আনুমানিক এগারটার সময় সাইফুজ্জামান তানভীর সাবিনার বাবার বাড়িতে যায় এবং উভয়েই এক সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী একান্ত সময় কাটায়। সময় কাটিয়ে তানভীর চলে যেতে চাইলে সাবিনা তাকে যেতে দিতে চায় না। ঐ মুহূর্তে সাবিনা বিয়ে করতে চাপ প্রয়োগ করে তানভীরকে। তানভীর অনেক বুঝানোর পরও সাবিনা মানতে রাজী না হওয়ায় তানভীর ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাথে থাকা চাকু দিয়ে সাবিনাকে বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে এবং গলা কেটে হত্যা করে।
হত্যার পর সাবিনার গলার স্বর্ণের চেইন আর কানের দুল ও মোবাইল নিয়ে যায় তানভীর। পরের দিন সকালে তানভীর কটিয়াদি বাজারে ফাহিম স্বর্ণ শিল্পালয়ে ৩৫ হাজার টাকায় চেইন ও দুল বিক্রি করে। উক্ত ঘটনায় গত ৮ জানুয়ারি সাবিনার পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে কটিয়াদি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা তদন্ত করে কটিয়াদি বাজারের ফাহিম স্বর্ণ শিল্পালয় থেকে নিহতের স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করে কটিয়াদি থানা পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে ফাহিম হত্যাকাণ্ড একাই সংগঠিত করেছে বলে স্বীকার করে। পরে র্যাব গ্রেফতারকৃত তানভীরকে কটিয়াদি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। সময়টিভি
আপনার মতামত লিখুন :