আহসান হাবিব : যে দেশের মানুষ যতো মূর্খ, গুজব সেসব দেশে ততো বেশি রটে। কিছু চতুর মানুষ মূর্খামির সুযোগ নিয়ে এই কাজ করে চলে। মূর্খ কারা? সহজ করে বললে বলা যায় যারা কোনো ঘটনার কার্যকারণ বোঝে না। সহজ উদাহরণ হচ্ছে- মহাশূন্যযান ছাড়া মহাশূন্য ভ্রমণ করা যায় না, এখন কেউ যদি বলে সে ঘোড়ায় চড়ে মহাশূন্য ঘুরে এলো এবং রটিয়ে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফেললো এবং মূর্খ মানুষের দল বিশ্বাস করে ফেললো, তখন এটা গুজবের অন্তর্গত হয়ে পড়লো। এই দেশে মারাত্মক সব গুজব চলে। কিছুদিন আগে পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা ব্যবহৃত হচ্ছে বলে গুজব রটেছিলো এবং মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলো!
সাঈদীর চাঁদে মুখ দেখার কথা নিশ্চয় আমরা ভুলে যাইনি। এখন চলছে ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব। একদল বলছে ভারত থেকে বাংলাদেশে যে ভ্যাকসিন আসছে, তা অক্সফোর্ডের নয়, ভারতের, এটা নিলে এমনকি গর্ভবতী নারীর গর্ভপাত ঘটে যাবে, অথচ এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার যারা করেছে এবং ট্রায়াল চালিয়েছে, তাদের মধ্যে গর্ভবতী নারী অন্তর্গতই ছিলো না। তারা এদের ভ্যাক্সিন দেয়ার ব্যাপারে রিকমেন্ডই করেনি। আর এই ভ্যাক্সিন যে অক্সফোর্ডের যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটে উৎপাদিত হয়েছে, পৃথিবীর আরো সাতটি দেশের ল্যাবে এটা উৎপাদন করা হয়। চাঁদে মুখ দেখা কিংবা ঘোড়ায় চড়ে মহাশূন্য ভ্রমণের মত গুজব যারা রটায়, তারা আবার ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব রটায় না, এরা আরো চৌকস শিক্ষিত শয়তান। এই দলে ডাক্তার থেকে শুরু করে ফার্মাসিস্টও আছে! এদের উভয়ের লক্ষ্য একটাই- দেশকে অস্থিতিশীল করা এবং ফায়দা লোটা। এরা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী। গুজব থেকে রক্ষা কি করে সম্ভব? একটাই পথ- বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। ফেসবুক থেকে