শাহীন খন্দকার: [২] বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. জুলফিকার আহমেদ আমিন বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে হাসপাতালে প্রথমে ২০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমরা এই প্রতিষ্ঠানেও ভ্যাকসিন প্রয়োগ করব। পরবর্তী সময়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে সাধারণ নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে।
[৩] তিনি বলেন, ‘২৪ জানুয়ারি এই হাসপাতালে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি কিভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে একটি বৈঠক হয়। পুরাতন শেরাটন হোটেলের উল্টোদিকে আমাদের একটা বিল্ডিং আছে। এটা আমরা এতদিন কোনো কাজে ব্যবহার করিনি, এখন ভ্যাকসিনেশনের জন্য নিচতলা প্রস্তুত করেছি।’
[৪] তিনি আরও বলেন, এ হাসপাতালে মোট আটটি বুথ থাকবে এবং প্রতিটি বুথে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য দুইজন নার্স এবং চারজন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর পোস্ট ওয়েটিং রুমে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
[৫] সেখানে তারা ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে থাকবেন। আর এই সময়ে তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য থাকবে একটি মেডিকেল টিম এবং স্ট্যান্ডবাই আরেকটি মেডিকেল টিম থাকবে। যেখানে একজন ইন্টারনাল মেডিসিন স্পেশালিস্ট, দুইজন রেসিডেন্স এবং একজন আইসিইউ স্পেশালিস্ট থাকবেন।’
[৬] তিনি জানান, আটটি অবর্জারভেশন বেড প্রস্তুত করা হয়েছে জীবনরক্ষাকারী সবধরনের ওষুধ এবং যন্ত্রপাতিসহ। সেখানে ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করা হবে, আর এই সময়ে যদি কারও আরও অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন হয় তাহলে হাসপাতালের সি ব্লকে ১০ তলায় চারটি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে এইচডিইউ (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) হিসেবে। আর এই কাজে একেবারেই একটি ডেডিকেটেড অ্যাম্বুলেন্সও রাখা হয়েছে।
[৭] ডা. জুলফিকার আহমেদ আমিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হাসপাতালের ৩০০ জন চিকিৎসক ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। যার তালিকা আমার কাছে রয়েছে। তবে নার্সদের, তৃতীয় চতুর্থ, এমএলএসএস, আনসার এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যার যার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করছেন। আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, সব বিভাগ থেকেই কয়েকজন করে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বলা ২০০ জনের তালিকা করা হবে।
[৮] হাসপাতাল পরিচালক হিসেবে তিনি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াও ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধন করেছেন জানিয়ে পরিচালক বলেন, ‘আমি এবং ভিসি মহোদয় দুজনই ভ্যাকসিন নিচ্ছি। হাসপাতালের অন্যদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি এবং এটা আমাদের প্রয়োজন ও দায়িত্ব।’
আপনার মতামত লিখুন :