শাহানুজ্জামান টিটু: [২] বিএনপির মহাসচিব, একজন শিক্ষক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৎ, পরিছন্ন রাজনীতিক বলে সকলের কাছে সমাদৃত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জন্মদিনে তেমন কোনো আয়োজন পছন্দ করেন না বর্ষীয়ান এই নেতা। শুধু নেতাকর্মীরা এই দিনে তাকে শুভেচ্ছা জানান।
[৩] বড় মেয়ে শামারূহ মির্জা তার ফেসবুকে লিখেছেন আমরা দুই বোন যখন ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা চাকরি ছেড়ে, পুরো পরিবারকে ঢাকায় ফেলে ঠাকুরগাঁয়ে চলে যান। এক-দুই দিন না, বছরের পর বছর আমরা বড় হয়েছিলাম বাবাকে কাছে না পেয়ে, কারণ তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করবেন।
[৪] খুব কঠিন ছিলো আমাদের বড়ো হওয়া। আমরা কষ্ট পেয়েছি, বিরক্ত হয়েছি কিন্তু আমার বাবাকে কোনোদিন নিরাশ হতে দেখিনি। মির্জা আলমগীর এই ৭৩ বছরেও হতোদ্যম হননি।
[৫] মির্জা ফখরুল এ বিষয়ে বলেন, জন্মদিন মানে আরও একটি বছর চলে গেছে। বড় মেয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে টেলিফোন করেছে, শুভ জন্মদিন বলল। ছোট মেয়ে ঢাকায় থাকে, সেও ভোরে ঘুম ভাঙিয়েছে, উইশ করেছে।
[৬] দুই মেয়েকে নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাহাত আরা বেগমের সংসার। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জন্মগ্রহণ করেন।
[৭] মির্জা ফখরুলের বাবার মির্জা রুহুল আমিন। তিনি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী। মির্জা ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।