রাশিদুল ইসলাম : [২] কথা বলছেন যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের প্রতিনিধিরা। তবে তা প্রকাশ্যে বা আনুষ্ঠানিক নয়। কুয়েতের দৈনিক আল-জারিদা এ দাবি করেছে। স্পুটনিক
[৩] ওয়াশিংটনের সঙ্গে কথা বলতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখত রাভিঞ্চিকে।
[৪] ইরানের প্রথম শর্ত হচ্ছে তেহরান ওয়াশিংটনের আরোপিত সব ধরনের অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায়।
[৫] যে ৬টি শক্তিশালী রাষ্ট্র অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরমাণবিক সমঝোতা চুক্তি হয়েছিল তা অব্যাহত থাকুক চায় ইরান।
[৫] ইরানের আরেক শর্ত হচ্ছে যেসব বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দ নয় তা দাফতরিক কমিটির মাধ্যমেই দর কষাকষির মধ্যে দিয়ে সমাধান হবে।
[৬] একতরফাভাবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় ইরান যে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
[৬] পারমানবিক সমঝোতা চুক্তির সঙ্গে ইরানের প্রতিরক্ষা ইস্যু বা ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির বিষয়টি যুক্ত করা যাবে না। ইরানের পররাষ্ট্রনীতিকেও নয়।
[৭] আরেক শর্ত হচ্ছে নতুন কোনো দেশ বা উপসাগরীয় দেশ এ চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না।
[৮] এছাড়া ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন দুই পৃথক রাষ্ট্রের সমাধান নয় বরং জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে ইস্যুটির সমাধান চায় ইরান। এসব শর্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানির দফতর থেকে পৌঁছে দেয়া হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে।
[৯] এদিকে বাইডেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েলে ম্যাঁক্রোর সঙ্গে ইরান ছাড়াও লেবানন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। এরপাশাপাশি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ প্রধান ইওসি কোহিনকে ওয়াশিংটনে পাঠাচ্ছেন আগামী মাসে।