শরীফ শাওন: [২] শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, উত্থাপিত তিনটি বিলে ‘বিশেষ পরিস্থিতে অতিমারি, মহামারি, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় নির্ধারিত কোনও অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনও পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনও বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশাবলি জারি করার বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
[৩] বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২০ এর ২৭ নম্বর আইন এর ধারা ৯ কে উপধারা ৯(১) করে সংযোজিত বিধিকে উপধারা ৯(২) করা হয়েছে। ইন্টারমেডিয়েট এন্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিনেন্স ১৯৬১’র ৩৩ নম্বর অর্ডিনেন্স, ১৮ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারার সংযোজিত বিল ২(এ) উপধাপরা হিসেবে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন ২০১৮ এর ৬৬ নম্বর আইনের ৮ নম্বর ধারাটি ৮(১) উপধারা হিসেবে এবং সংযোজিত বিল ৮(২) উপধারা হিসেবে যুক্ত হবে। এসকল আইনকে ২০২১ সালের আইন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
[৪] মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ বলেন, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড আইনে চলে, অন্যান্য সকল বোর্ড অর্ডিনেন্স অনুযায়ী পরিচালিত হয়। পুর্বের আইনের উল্লেখিত ধারা অনুয়ায়ী বোর্ড পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের কোন সুযোগ না থাকায় তিনটি বিল সংযোজনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সকল বোর্ড পরীক্ষার ক্ষেত্রেই বর্তমান আইন প্রযোজ্য হবে। এই আইনে ভবিষ্যতে বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার গেজেট প্রকাশ করে ভিন্ন উপায়ে বোর্ড পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে পারবে।