সমীরণ রায় ও রাজু চৌধুরী : [১] নির্বাচনে প্রতিহিংসা যেন না হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চাই, হতাহতের ঘটনা কাম্য হতে পারেনা।
[৩] প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা আরও বলেন, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যারা এই নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করছেন, তাদের সহনশীল হতে হবে। সেটা যদি অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ হয় তাহলে সহিংস ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে না। আশ্বস্ত করার মতো নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে। বিপুল পরিমাণ মানুষ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে। পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের।
[৪] তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট সংশ্লিষ্ট কাজে যারা নিয়োজিত থাকবেন তাদের সব প্রার্থীর প্রতি সমান নজর রাখতে হবে। যাতে এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন না উঠে। এর মধ্যেই কয়েকজন নিরীহ মানুষের প্রাণ ঝরেছে। আমরা তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। একটি জীবন এই নির্বাচনের চাইতে অনেক মূল্যবান।
[৫] কে এম নূরুল হুদা বলেন, ইভিএম ভোটারদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। নির্বাচনের বর্তমান পরিবেশ ধরে রাখতে হবে। সব প্রার্থী যেন সমান অধিকার পায় এবং নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলে সেটি সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ অবস্থায় নির্বাচনের প্রার্থী, সমর্থকরা খুব সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচনী কার্যাবলী পালন করবেন। সহিংসতার মধ্যদিয়ে নির্বাচন শেষ হবে না। নির্বাচনের প্রার্থী ও সমর্থকদের বলবো নির্বাচনের পরও আপনারা এই সমাজে বসবাস করবেন। কিন্তু যেন আসামি বা বাদী হিসেবে বসবাস করতে না হয়।
[৬] রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চসিক নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলে।