শাহীন খন্দকার: [২] মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল আলম খান (দাদা ভাই) শনিবার বিকেলে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
[৩] ২৩ জানুয়ারি এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ুম। তিনি জানিয়েছেন, সুস্থ হয়ে দাদা ১১দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন।
[৪] এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, তাঁর জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. এবিএম জামাল ও সদস্য চিকিৎসকগণ, সেবাদানকারী নার্সগণ তাঁকে বিদায় দিয়েছেন।
[৫] আর যথারীতি উপস্থিত ছিলেন ভর্তি থেকে বিদায় দেয়া পর্যন্ত দাদার চিকিৎসা সমন্বয় করেছেন যিনি সেই অধ্যাপক ডা. টাবলু আবদুল হানিফ। চিকিৎসা শেষে তাঁকে এম্বুলেন্সে করে বাসায় নিয়ে যান কন্যা ইয়াসমিন ইতি ও শ্রমিক নেতা মণ্টু।
[৬] তিনি জানান, এর আগে, ইন্টেস্টাইন অবস্ট্রাকশন ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এনআইসিভিডিতে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে সিসিইউতে ভর্তি করে দ্রুত কিছু টেস্ট করে নিশ্চিত হন তার হৃদরোগ সম্পর্কিত জটিলতা নাই।
[৭] তারা তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করেন। রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিঁনি সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এবিএম জামালের অধিনেঐতিহাসিক ভিভিআইপি কেবিন-৯য়ে ভর্তি হন।
[৮] অধ্যাপক ডা. এবিএম জামালকে প্রধান করে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাঁর চিকিৎসা করেন। তারা কোনো সার্জিকাল ইন্টারভেনশন ছাড়াই দাদার ইন্টেস্টাইন অবস্ট্রাকশন দূর করে তাঁকে সুস্থ করে তোলেন।