শিরোনাম
◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে

প্রকাশিত : ২২ জানুয়ারী, ২০২১, ০৫:৩০ সকাল
আপডেট : ২২ জানুয়ারী, ২০২১, ০৫:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আল্লাহ ইমানদারদের মহান অভিভাবক

ইসলামি ডেস্ক: আল্লাহ স্বয়ং নিজেকে ইমানদারদের অভিভাবক হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এটি ইমানদারদের জন্য একটি সম্মান। একই সঙ্গে একটি বড় ভরসা। আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ইমান এনেছে আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তিনি তাদের অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন। আর যারা কুফুরি করে তাগুত তাদের অভিভাবক। তারা তাদের আলো থেকে অন্ধকারের দিকে বের করে আনে। এরাই হলো অগ্নি অধিবাসী, সেখানেই তারা চিরকাল থাকবে।’ সুরা বাকারা, আয়াত ২৫৭।

মানুষ সৃষ্টির সেরা। সে মানুষই নিজেকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে দাবি করতে পারে যে ইমানদার। যে আল্লাহর সন্তুষ্টিবিধানে সক্ষম। নিজেকে সৎকর্মশীল হিসেবে প্রমাণ করতে সমর্থ। যারা ইমানদার তাদের অশুভ ও অকল্যাণকর শক্তির প্রতিভূ শয়তান সম্পর্কে সতর্ক ও দূরে থাকতে হবে। আল কোরআনে এ বিষয়ে তাগিদ দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কোর না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ সুরা বাকারা, আয়াত ২০৮।

ইমানদার হতে হলে সব ক্ষেত্রে তার ভালোবাসা ও শত্রুতার লক্ষ্য থাকতে হবে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির ভালোবাসা ও শত্রুতা, দান করা ও না করা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই হয়, প্রকৃতপক্ষে সে-ই পূর্ণ ইমানদার।’ বুখারি।

আল্লাহ মানুষকে ইমানের পথে আনার জন্য যুগে যুগে নবী-রসুল পাঠিয়েছেন। শেষ নবী হিসেবে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমন ঘটেছে। তারপর কোনো নবীর আগমন ঘটবে না। আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো ওহি বা কিতাব নাজিল হবে না। ইমানদার হতে হলে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনা দীনের প্রতি ইমান আনতে হবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘সেই সত্তার শপথ যার হাতে মুহাম্মদের জীবন। এ উম্মতের যে কেউ চায় সে ইহুদি হোক বা নাসারা হোক আমার রিসালাতের কথা শুনবে, অথচ আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার ওপর ইমান না এনে মৃত্যুবরণ করবে, সে অবশ্যই জাহান্নামের অধিকারী হবে।’ মুসলিম।

ইমানের পথে থাকার জন্য মুমিনদের অনেক সময় দুঃখ-কষ্টের মুখোমুখি হতে হয়। বাহ্যিক দিক থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হলেও প্রকৃত অর্থে যারা ইমানদার নয় তারাই ক্ষতির সম্মুখীন। আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘শপথ মহাকালের! নিশ্চয় সব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা ছাড়া যারা ইমান এনেছে, সৎ আমল করেছে এবং পরস্পর পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে ও পরস্পর পরস্পরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিয়েছে।’ সুরা আসর, আয়াত ১-৩। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইমানে অটল থাকার তৌফিক দান করুন। বাংলাদেশ প্রতিদিন

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়