সুজন কৈরী: রাজধানীর চকবাজারে ভেজাল ও নকল প্রসাধনী উৎপাদন, মজুদ এবং বাজারজাত করায় ১৯ প্রতিষ্ঠানকে ৫২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন র্যাব-১০ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া পৃথক অভিযানে সাভার এলাকার ৬টি ফার্মেসিকে অনুমোদনহীন ও আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন র্যাব-৪ এর ভ্রাম্যমান আদালত।
র্যাব- ১০ এএসপি এনায়েত কবির সোয়েব বলেন, বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমের নেতৃত্ব চকবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় অনুমোদনহীন ভেজাল এবং নিম্নমানের কসমেটিক্স, মেয়াদহীন ফুড আইটেম উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করায় ১৯ প্রতিষ্ঠানকে নগদ ৫২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়। এ সময় ৮টি গোডাউন সিলগালাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার নকল ও নিম্নমানের প্রসাধনী জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।
এনায়েত কবির সোয়েব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন ভেজাল ও নিম্নমানের কসমেটিক্স, মেয়াদহীন ফুড আইটেম উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করছিলেন।
এদিকে ঢাকা জেলার সাভার এলাকায় ৬ ফার্মেসিকে অনুমোদনহীন ও আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছেন র্যাব-৪ এ পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত।
র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহযোগীতায় সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। অভিযানকালে মেয়াদোত্তীর্ণ, অনুমোদনহীন ও আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির অপরাধে সাগর মেডিক্যালের মালিক গোপাল ঘোষকে ৭৫ হাজার টাকা, আল মুস্তাকিম ফার্মেসীর মালিক রাশেদুল হাসানকে ২৫ হাজার টাকা, মুক্তি ফার্মেসীর মালিক জীবন সরকারকে ৭৫ হাজার টাকা, শিকদার ফার্সেসীর মালিক মনিরুজ্জামানকে ৫০ হাজার টাকা, সুমন ফার্মেসীর মালিক এমডি ফারুককে ৫০ হাজার টাকা এবং জয় ফার্মেসীর মালিক সুকুমার ঘোষকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়াও ৬টি ফার্মেসী থেকে আনুমানিক ২ লাখ টাকা মূল্যের বিক্রয় নিষিদ্ধ বিভিন্ন অবৈধ ওষুধ জব্দ করে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়েছে।