ডেস্ক রিপোর্ট : প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি, একজন ইসলামিক স্কলার ও রাজনীতিবিদ। তিনি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, তারা আমাকে জামায়াতে নেবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। ইউকের লেস্টার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক কনফারেন্সে আমি গেছি, অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবও গেছেন।
তিনি পাকিস্তান জামায়াতের নায়েবে আমির সিনেট মেম্বর প্রফেসর খোরশেদকে বললেন, ‘আবু রেজা নদভীকে কত চাইলাম, পেলাম না। তাকে আমাদের দরকার ছিল।’
মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীও চেয়েছেন। তাকে দলের লোকেরা বলতো, নদভী তো জামায়াত পছন্দ করে না। আপনি কেন তার জন্য উদ্বিগ্ন হচ্ছেন? অথচ তারাই জনগণের কাছে প্রচার করে, নদভী জামায়াতের!
অদ্ভুত সুবিধাবাদিতা! সাঈদী বিখ্যাত এবং তুখোড় ওয়ায়েজ, কিন্তু তার তো ইলমের গভীরতা নেই। আমাকে কিছু বলতে এলে উল্টো আমি তাকে যে ইসলাহমূলক কথা বলতাম, তিনি ৯৫ শতাংশের সঙ্গে একমত পোষণ করতেন।
তিনি বলতেন, ‘আপনার মতো এমন একজন ধীমান এমপি যদি আমি পেতাম, আর কিছু লাগতো না।’ আমি তাদের পাত্তা দেই নি। তারা মাওলানা সুলতান যওক নদভীকেও নিতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তিনি ফিরে এসেছেন।
শিক্ষকতা করেই আনন্দ পাই। কিন্তু জামায়াতীদের অপপ্রচারের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস নেই না। কেবল মাসে দুটো ক্লাস নিই।
তিনি আরো বলেন, অতীতে কওমি আলেমদেরকে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সগুলোতে ডাকা হতো না, এখনও তেমন ডাকা হয় না। সেখানে ডাকা হয় জামায়াতীদের। আমি যেহেতু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কানফারেন্সে যোগ দিতাম, তাই আমাকেও জামায়াতী বলে ট্যাগ লাগিয়ে দেয়।
তাছাড়া আরেকটি কারণ হলো আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামে আমার অধ্যাপনা। বিশ্ববিদ্যায়ের শুরু থেকেই আমি সেখানকার প্রফেসর। আমার মাধ্যমে এ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আরব স্কলাররা এসেছেন।
যদিও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম চেয়ারম্যান বাইতুশ শরফের পীর মাওলানা আবদুর জাব্বার; তিনি প্রথম ভাষণেই বলেছিলেন, ‘এটা কোনও দলীয় বিশ্ববিদ্যালয় না’।
মূলত শুরু থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতীরা ছিল। কিন্তু তারা তখন ছিল নীরব। তারা ব্যবহার করেছিল নির্দলীয় বাইতুশ শরফের পীর সাহেবকে। পরে চারদলীয় জোটের আমলে এখানে জামায়াত প্রভাবশালী হয়ে উঠে।
তাদের প্রভাবে এখানে আসতেন অধ্যাপক গোলাম আযম, আবদুল কাদের মোল্লা, মীর কাসেম আলী, জাফর ইসলাম চৌধুরী, মীর নাসির, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী।
সুতরাং সবাই যখন দেখল জামায়াতীরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে, আমি সেখানে আছি—আমাকে তো জামায়াত বলবেই। কিন্তু আমি জামায়াত—এর কোনো প্রমাণ নেই।
জামায়াত হবার জন্য যে রিপোর্ট বই পূর্ণ করতে হয়ে, শপথ নিতে হয়, এমন কিছুই আমি করিনি। যদি করতাম, এতদিনে এসব ডকুমেন্ট জামায়াত আল জাজিরা, সিএনএনে মতো চ্যানেলকে ডেকে সংবাদ সম্মেলন করে পেশ করত।
তারা আমাকে জামায়াত বলে। অথচ আমার দাদা মাওলানা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহির মুরিদ ছিলেন। আমার বাবা মাওলানা খলিল আহমদ সাহারাপুরি, হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভির অনুসারী ছিলেন।
আমাদের পরিবারে আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় ১৫/২০ জন নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সময় কালুরঘাটে প্রথম যে খাদ্যট্রাক আসে, তা এসেছে আমাদের পরিবার থেকে। আমার বড় ভাই ছিলেন আ’লীগের প্রখ্যাত নেতা মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনৈতিক সঙ্গী।
তার স্মারকে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জামায়াত পাঁচবার আমাকে আক্রমণ করেছে হত্যা করার জন্য। আমি জামায়াত হই কী করে?
তারা আমাকে জামায়াতে নেবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। ইউকের লেস্টার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক কনফারেন্সে আমি গেছি, অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবও গেছেন।
তিনি পাকিস্তান জামায়াতের নায়েবে আমির সিনেট মেম্বর প্রফেসর খোরশেদকে বললেন, ‘আবু রেজা নদভীকে কত চাইলাম, পেলাম না। তাকে আমাদের দরকার ছিল।’
মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীও চেয়েছেন। তাকে দলের লোকেরা বলতো, নদভী তো জামায়াত পছন্দ করে না। আপনি কেন তার জন্য উদ্বিগ্ন হচ্ছেন? অথচ তারাই জনগণের কাছে প্রচার করে, নদভী জামায়াতের!
অদ্ভুত সুবিধাবাদিতা! সাঈদী বিখ্যাত এবং তুখোড় ওয়ায়েজ, কিন্তু তার তো ইলমের গভীরতা নেই। আমাকে কিছু বলতে এলে উল্টো আমি তাকে যে ইসলাহমূলক কথা বলতাম, তিনি ৯৫ শতাংশের সঙ্গে একমত পোষণ করতেন।
তিনি বলতেন, ‘আপনার মতো এমন একজন ধীমান এমপি যদি আমি পেতাম, আর কিছু লাগতো না।’ আমি তাদের পাত্তা দেই নি। তারা মাওলানা সুলতান যওক নদভীকেও নিতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তিনি ফিরে এসেছেন।
সূত্র- যুগান্তর