আবু সুফিয়ান রতন: বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের মার্শাল আর্টের প্রবর্তক, চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম সম্প্রতি দাউদকান্দিতে এক সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে রাত ৩টার দিকে দাউদকান্দি ব্রিজে ট্রাফিক সিগন্যালে অপেক্ষমান ছিল তাকে বহনকৃত হুন্দাই জিপ। এ সময় একটি কাভার্ডভ্যান পেছন দিক থেকে সজোরে তিন তিনবার ধাক্কা দেয়। গাড়ির ভেতর বসে থাকা ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম সামনে দিকে ছিটকে পড়েন। বুকে প্রচন্ড ব্যথা পাওয়ার কারণে তিনি শ্বাস নিতে পারছিলেন না। প্রাণে বেঁচে গেলেও তার অবস্থা ছিল মারাত্মক সংকটাপন্ন। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের সহায়তায় তিনি দ্রুত ঢাকা আসেন। রাজধানীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় তাকে। এখন অনেকটাই সুস্থ। ২/১ দিনের মধ্যে বাসায় ফিরবেন জানিয়েছেন তার পরিবার।
ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভাগ্যিস অত্যাধুনিক জিপ ছিল, সাধারণ প্রাইভেট কার হলে দুমড়ে মুচড়ে যেত। কোনোভাবেই বাঁচানো যেত না আমাকে। কথায় বলে, আল্লাহ বাঁচালে কেউ মারতে পারে না। স্রষ্টার অশেষ রহমতে আমি বেঁচে আছি। তবে বুকের ব্যথাটা খুব ভোগাচ্ছে। স্ত্রী রাকা আলমের যত্নে কারণেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
নব্বই দশকের শেষ দিক থেকে শুরু করে গেল দশকের শুরুর দিক পর্যন্ত ‘মার্শাল আর্ট’ নির্ভর ছবি করে বাংলা চলচ্চিত্রে নতুনধারা তৈরি করেছিলেন ওস্তাদ জাহাঙ্গীর। মার্শাল আর্টে গ্র্যান্ড মাস্টার পেয়েছিলেন তিনি। তার মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে মার্শাল আর্ট ছবি প্রতিষ্ঠিত ও তুমুল জনপ্রিয় হয়। বলা বাহুল্য, ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলমের হাত উঠে রুবেল, ইলিয়াস কোবরা, ড্যানি সিডাক, শাহিন আলম চলচ্চিত্রে মার্শাল আর্টের ব্যবহার শুরু করেন।
চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে বেশ কয়েকবছর আমেরিকা ছিলেন তিনি।। এরপর দেশে ফিরে রিসোর্ট ব্যবসা শুরু করেন, নাম ওস্তাদ জাহাঙ্গীর রিসোর্ট। পাশাপাশি জাতীয় মার্শাল আর্টের জাতীয় প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। সারাদেশে ৪০০-৫০০ মার্শাল আর্ট ক্লাব রয়েছে । সেখানে তিনি দেখভাল করেন, ট্রেনিং প্রদান করেন।