শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারী, ২০২১, ০৯:৩৩ সকাল
আপডেট : ১৯ জানুয়ারী, ২০২১, ০৯:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রাজশাহীতে নিবন্ধন পেল রঙিন আম আর ফলসা

মঈন উদ্দীন: [২] একটি রঙিন আম জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে নিবন্ধন পেয়েছে। একইসঙ্গে নিবন্ধন পেয়েছে অপ্রচলিত দেশী ফল ফলসা। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র জাত দুটির নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। এর আগে দীর্ঘ সময় ধরে ফল দুটিকে নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। দেশে এই প্রথম ফলসা ফল নিবন্ধন পেল। এটি নাম পেয়েছে ‘বারি ফলসা-১’। আর রঙিন আমটির নাম হয়েছে ‘বারি আম-১৪’। তবে রঙিন আম এর আগেও নিবন্ধন পেয়েছে। নতুন নিবন্ধন পাওয়া জাতটি এসেছিল সৌদি আরব থেকে। আর ফলসাটি ছিল রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রেই।

[৩] চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা গোলাম মর্তুজা ‘লিয়েনে’ সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি আমবাগান নিয়ে গবেষণার কাজ করতেন। ২০১০ সালে তিনি ‘টমিএটকিনস’ জাতের আম গাছের সায়ন (ডাল) সংগ্রহ করে আনেন। দেশে ফিরে তিনি সেটি রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রে দেন। এরপর ১০টি গাছে তার কলম করা হয়। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন জানান, প্রথমে ১০টি গাছে কলম করা হলেও ৯টি গাছই মরে যায়। অতিযত্নে কেবল একটি গাছকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। সেখান থেকে এখন চারটি মাতৃগাছ তৈরি করা হয়েছে।

[৪] অন্যদিকে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রে প্রায় ২০ বছর বয়সী একটি ফলসা ফলের গাছ আছে। ফলসা বাংলাদেশের একটি অপ্রচলিত ফল। আকারে ছোট টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি বা”চারা খুবই পছন্দ করে। ফলটি ভিটামিন আর মিনারেলে ভরপুর। গেল ১০ বছর ধরে এই ফলটিরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। তারপরই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হয়। নিবন্ধন পাওয়া ফলসাও ‘ইনব্রিড’। বছরের মে-জুন মাসে এটি গাছে পেকে খাবার উপযোগী হয়। তখন এর রঙ হয়ে ওঠে কাল বা বেগুনি। ফল হয় পাঁচ থেকে ১২ মিলিমিটার ব্যাসবিশিষ্ট।

[৫] নতুন এই ফলসা এবং রঙিন আম সারাদেশে চাষ করা সম্ভব। গত ৩১ ডিসেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও জাতীয় বীজ বোর্ডের সচিব নতুন এই আম ও ফলসার নিবন্ধন দেন। স্বার্থক হয় রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও পরিশ্রম। রোববার নিবন্ধনপত্র রাজশাহী আসে।সম্পাদনা: সাদেক আলী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়