ইমরুল শাহেদ: পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক কথা প্রসঙ্গে বলেন, কাকে নিয়ে ছবি বানাবো, শিল্পী কই। তাই নাই মামার চাইতে কানা মামাদের নিয়েই কাজ করছি। পরিচালক দেওয়ান নাজমুল বলেন, দাদা-দাদী বা নানা-নানী, পিতা-চাচা অর্থাৎ বয়স্ক চরিত্রের শিল্পী একেবারেই নেই। মধ্য বয়সীদের বৃদ্ধ সাজালেও আরোপিত মনে হয়।
এছাড়া নতুন যারা আসেন তারা কেবল নায়ক বা নায়িকা হতে চান। এসব সমস্যা মাথায় রেখেই পরিচালক সমিতি দুই বছর আগে নতুন মুখ সন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছিল। তারা নতুনদের আবেদনের জন্য একটি ওয়েবসাইটও খুলেছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল দেশের প্রতিটি জেলায় জেলায় গিয়ে সম্ভাবনাময় নতুন মুখ খুঁজে বের করার। কিন্তু এজন্য বড় অংকের অর্থ প্রয়োজন। তার যোগানের জন্য একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা শুরু হওয়ার মধ্যেই চলে আসে কোডিভ-১৯ মহামারী।
তাতে সব উদ্যোগই বন্ধ হয়ে যায়। পরিচালক শাহ আলম কিরণ বলেন, ‘সামনেই আমাদের নির্বাচন। নতুন কমিটি এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিলেও নিতে পারে। তবে যে কোনো উপায়েই হোক আমাদেরকে তারকা সংকট মোকাবিলা করতেই হবে।’ তবে একজন পরিচালক বলেন, ‘আমরা নতুনদের নিয়ে কাজ করতে পারছি না। কারণ প্রদর্শকরা নতুনদের নিয়ে নির্মিত ছবি প্রদর্শন করতে চান না।’ কিন্তু এই বক্তব্য মেনে নেননি প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস।
তিনি বলেন, ‘যারা এখন তারকা হিসেবে পরিচিত তারা কি কোনোদিন নতুন ছিলেন না? তাদের নিয়ে ছবি প্রদর্শিত না হলে তারা তারকা হলেন কি করে?’ তিনি বলেন, বিষয়টা আসলে অন্য। এক শ্রেণীর নির্মাতা আছেন, তারা অন্যকে দোষারোপ করে নিজেদের অক্ষমতাকে ডাকতে চান। চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে ন্যূনতম একটা বাজেট লাগে। সে বাজেটে কেউ ছবি নির্মাণ করছেন না। যারা ২০ বা ২২ লাখ টাকা দিয়ে ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন, তারা কি সত্যিকার অর্থে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন? তারা নির্মাণ করছেন টেলিফিল্ম। কিছু ফুটেজের সঙ্গে কয়েকটি গান জুড়ে দিলেই সিনেমা হয় না। সে রকম সিনেমাই এখন নির্মিত হচ্ছে। তা দিয়ে প্রদর্শন ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।