সমীরণ রায়: [২] বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল হক খান আরও বলেন, কোনো সম্প্রদায়কে পেছনে রেখে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
[৩] প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার মূলনীতি যুক্ত করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আদর্শ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
[৪] তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়সমূহের কল্যাণ ও নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সভ্য দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বন্ধ পরিকর। সে লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
[৫] রোববার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ৯০তম বোর্ড সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
[৬] সভায় প্রবারণা পুর্ণিমা ও কঠিন চীবরদান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুদান যথাযথভাবে সময়মত বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ঢাকায় সার্বজনীন বৌদ্ধ শ্মশান নির্মাণ, ট্রাস্ট তহবিল বৃদ্ধি, “মুজিব শতবর্ষ” উপলক্ষে “আশ্রয়ন প্রকল্পে” (জমি আছে ঘর নেই-তাদের জন্য বাড়ী নির্মাণ) বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ হতে ২টি বাড়ি প্রদান বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
[৭] সভায় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান-১ রমেশ চন্দ্র সেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ট্রাস্টি মো. নূরুল ইসলাম, ভাইস-চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, ট্রাস্টি বাসন্তী চাকমা অংশগ্রহণ করেন।