শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৪১ সকাল
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাদিয়া নাসরিন : ফিনিক্স পাখি আয়েশা সিদ্দিকা, আপনার জন্য লাখো-কোটি নারী পুরুষের পক্ষ থেকে শুভকামনা

সাদিয়া নাসরিন : নারী ম্যারেজ রেজিস্ট্রার বা বিয়ের কাজী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনদিন আগে হাইকোর্টের যে রায়টি দিয়েছেন তার পেছনের নারীটির নাম আয়েশা সিদ্দিকা। দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়ার মেয়ে। ২০১২ সালে দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া পৌর সভা কাজী নিয়োগ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি দেখে তিনি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য বিয়ের কাজী নিয়োগপ্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন। নির্দিষ্ট সময়ে ইন্টারভিউতে ডাকা হলো। তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে এই পদের যোগ্য বলে বিবেচিত হন। তাঁর কাগজপত্র মিনিস্ট্রিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয় থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি এই পদের যোগ্য হবেন না। কারণ এই পদে কোনো নারী নিয়োগের বিধান নেই। এরপর শুরু হয় আয়েশা সিদ্দিকার আইনি লড়াই। তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন ২০১৪ সালের জুন মাসে।

তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে নারী বা পুরুষের কথা স্পেসিফিক করে উল্লেখ ছিল না, তাই আমি অবশ্যই ধরে নেবো এটা সবার জন্য উন্মুক্ত। শুধু পুরুষের জন্য হলে আমি নিশ্চয়ই আবেদন করতাম না। তাছাড়া তারা সবাই তো জানতেন আমি একজন মহিলা, এরপরেও তো আমাকে ইন্টার্ভিউতে ডাকা হলো, আমি যোগ্যতা প্রমাণ করলাম, উত্তীর্ণ হলাম। এখন আমাকে নিয়োগ না দেওয়াটা আমার সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন।’ দীর্ঘ ছয় বছর চলে এই আইনি লড়াই। দম ধরে ছয় ছয়টা বছর এই লড়াই টেনে নিয়ে গেছেন এই আগুনের পাখি। ছয় বছর পরে আলোচিত এই মামলার রায় হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এই রায়ে মন্ত্রণালয়ের ‘এ পদের জন্য নারী যোগ্য বিবেচিত না’ বলে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সেটা বহাল রাখে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘প্রাকৃতিকভাবে নারীদের প্রত্যেক মাসে একটি বিশেষ সময়ে ফিজিক্যাল ডিসকেয়ালিফিকেশনে থাকে, যে সময়টাতে ধর্মীয়ভাবেই নারীরা মসজিদে যেতে পারেন না। আবার নামাজও পড়তে পারেন না। এ সময় যদি কারও বিয়ের অনুষ্ঠান মসজিদে হয়, সেখানে কোনও নারী বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে যেতে পারবে না!’ তিনদিন আগে মামলাটির দ্বৈত বেঞ্চের দুই বিচারকের স্বাক্ষরসহ পূর্ণাংগ রায়ের কাগজপত্র আসলে সেটি মিডিয়ায় আসে এবং দেশজুড়ে নাগরিক সমালোচনা ও ক্ষোভ তৈরি হয়।

আয়েশা সিদ্দিকা এখন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর পরিষ্কার কথা, ‘বিয়ের কাজীর কাজ স্রেফ রেজিস্ট্রেশন করা স্বাক্ষর করা। যদি এর সাথে কেউ ধর্মীয় বিষয় যোগ করতে চান সেটা কেউ আলাদা ইমাম নিয়ে করতে পারেন। কিন্তু সেটা বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের সাথে সম্পর্কিত নয়। আমি অবশ্যই এপিলেট ডিভিশনে যাচ্ছি এর শেষ দেখতে চাই’।

ফিনিক্স পাখি আয়েশা সিদ্দিকা, আপনার জন্য লক্ষ কোটি নারী পুরুষের পক্ষ থেকে শুভকামনা। এই লড়াই ইতিহাস গড়ার লড়াই। আপনার জয়ের জন্য অপেক্ষা করছি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়