আনিস তপন: [২] বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
[৩] তিনি বলেন, নীতিমালার আওতায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের টিকা দেয়ার শুরুর পর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শর্ত সাপেক্ষে টিকা দিতে পারবে।
[৪] তিনি বলেন, নীতিমালা অনুসরণ করে তারা কীভাবে টিকা দেবে, কীভাবে হিসাব রাখবে, কী দামে দেবে এ বিষয়গুলো ঠিক করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে কোন কোন হাসপাতাল বা কোন কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার কোভিড ভ্যাকসিন দিতে পারবে তা ঠিক করে দেয়া হবে।
[৫] স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য ৪২ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার। তাদের মধ্যে টেকনোলজিস্ট, নার্স, মিডওয়াইফ ও
ভলান্টিয়ার কর্মীরা রয়েছেন। তাছাড়া ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য আইসিটি মন্ত্রণালয় একটি অ্যাপস তৈরি করছে। এর মাধ্যমে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য আগ্রহীরা নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধিত হওয়ার পর ভ্যাকসিন গ্রহণের সময় ও স্থান জানিয়ে দেয়া হবে।
[৬] ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য সরকার পুরোপুরি তৈরী রয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়া করা হবে।
[৭] দেশে অন্তত ১৪/১৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ রাখার ব্যবস্থা সরকারের আছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাই দেশে ৪ থেকে ৫ কোটি ভ্যাকসিন চলে এলে সেগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগে সমস্যা হবে না। মন্ত্রী বলেন, জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতালের সংরক্ষিত কোল্ড রুমে প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রতিটি হাসপাতালে পাঁচ থেকে ১০টি আইস ফ্রিজার আছে, যেখানে অন্তত ৭১ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখা যাবে।
[৮] ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য সারাদেশে প্রাথমিকভাবে সাত হাজার ৩৪৪টি টিমকে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতি টিমে ছয় জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন। তারা প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জনকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে পারবে।