ফরহাদ আমিন: [২] কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে ১৪৪ টি পরিবারের ৬৭০ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উখিয়ার ২০ নম্বর শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তর করা হয়েছে।পর্যটন এলাকা হিসেবে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[৩] শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বিভিন্ন ব্লক থেকে উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে যেতে ইচ্ছুক, এমন ১৪৪টি পরিবারের ৬৭০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের (আরআরআরসি) মাধ্যমে বুধবার বিকেল তিনটার দিকে এ স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়।
[৪] শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা, বাহারছড়ার শামলাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ সিনিয়র সহকারী সচিব পুলক কান্তি চক্রবর্তী বলেন, সরকারের নির্দেশনায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাহারছড়ার শামলাপুর ক্যাম্পটি খালি করে রোহিঙ্গাদের উখিয়াসহ অন্য ক্যাম্পে নেওয়া হচ্ছে।
[৫] শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের দলনেতা মোজাহার মিয়া বলেন, এ রোহিঙ্গা শিবির থেকে উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে পর্যায়ক্রমে সব রোহিঙ্গাকে হস্তান্তর করার কাজ শুরু করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত করে বাহারছড়ার পাহাড়ের পাদদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পালিয়ে থাকছে। এতে তাদের অপরাধ আরও বৃদ্ধি পায়।তাই রোহিঙ্গাদের শিবিরের মধ্যে রাখতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[৬] এ প্রসঙ্গে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন বলেন, সরকার পর্যটন এলাকা ও টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাহারছড়ার শামলাপুর ২৩ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে।
[৭] এ জন্য এই শিবিরের রোহিঙ্গাদের অন্যত্র স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। প্রথম দফায় নয়টি বাস ও চারটি ট্রাকে করে ১৪৪টি পরিবারের ৬৭০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুকে উখিয়ার স্থানান্তর করা হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী