বগুড়া প্রতিনিধিঃ [২] বগুড়া পৌরসভা থেকে অটোরিকশা-ভ্যান-ইজিবাইকের ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু না হলে আগামী ২৪জানুয়াফা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে অটোরিকশা-ভ্যান শ্রমিক ও মালিক সংগ্রাম পরিষদ। রবিবার বেলা ১টায় শহরের জিরোপয়েন্ট সাতমাথায় মুজিব মঞ্চের সামনে ৫ দফা দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়।
[৩] অটোরিকশা-ভ্যান শ্রমিক ও মালিক সংগ্রাম পরিষদ দাবিগুলো হলো-পৌরসভা থেকে অটোরিকশা-ভ্যান-ইজিবাইকের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান, অটোরিকশা ভাংচুর, শ্রমিকদের শারীরীক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করা, রোড এবং স্ট্যান্ড নির্ধারণসহ স্ট্যান্ডগুলোতে পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা, রাস্তায় মোটরসাইকেলসহ গাড়ী পার্কিং বন্ধ করা এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করা। সমাবেশে প্রায় ৫শতাধিক অটোরিকশা চালক ও মালিকগণ অংশ নেয়। রিকশা শ্রমিকদের এই আন্দোলনেকে সমর্থন জানিয়ে বাম দলের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে।
[৪] এর আগে সকাল ১০টায় শহরের বনানীতে সমাবেত হয় আন্দোলনকারী রিকশা শ্রমিকরা। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে শ্লোগান দিতে-দিতে সাতমাথা অভিমুখে আন্দোলনকারীদের একটি পদযাত্রা বের হয়। কলোনী ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ড ও মফিজ পাগলা পথসভা শেষে পদযাত্রাটি শহরের সাতমাথায় এসে শেষ হয়। বগুড়া শহরের যানজট নিরসনে জেলা পুলিশ গত ১ জানুয়ারি থেকে শহরের ইজিবাইক, অটোরিকশা, মেট্রোরিকশা ও সকল প্রকার ব্যাটারিচালিত যান চলাচলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে।
[৫] অটোরিকশা-ভ্যান শ্রমিক ও মালিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মো.কবির হোসেনের সভাপতিত্বে রবিবার শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক নেতা রুমেল ও মাসুদ পারভেজ, এ্যাডঃ দিলরুবা নুরী, অটোরিকশা মালিক কাশেম, ফারুকুল ইসলাম, অটোরিকশা চালক শাজাহান মোল্লা ও শাজাহানসহ প্রমূখ।
[৬] সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই এর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, শহরের যানজট নিরসনের নামে প্রশাসন সাতমাথায় ব্যাটারীচালিত যানবাহন ঢুকতে দিচ্ছে না। অথচ যানজটের জন্য দায়ী অপ্রতুল রাস্তা। শহরের অভিজাত হোটেল, বেসরকারী হাসপাতাল, ব্যাংক ও শপিং মলের সামনে পার্কিং করে রাখা মোটরসাইকেল ও গাড়ী যাজনজটের অন্যতম আরেকটি কারণ। ফুটপাতও ব্যবসায়ীদের দখলে। পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই এদিকে।
[৭] বক্তারা বলেন, ব্যাটারি চালিত এসব যানবাহন আমদানি করাসহ দেশের অভ্যন্তরে কেনাবেচায় সরকারি কোনো বিধি নিষেধ নেই। অথচ রাস্তায় যখন চলছে তখন সেগুলো অবৈধ বলা হচ্ছে। পৌরসভার মেয়রকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তিনি। এর আগে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হলে তিনি শুধু আশ্বস্ত করেছন। অথচ ব্যাটারি চালিত এসব অটোরিকশার মাধ্যমে যথাসময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে পারে যাত্রীরা। পরিবেশ দূষনও হয় না এসব রিকশায়। রোগীকে দ্রুত সময়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়াসহ যাতায়াতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমিয়ে এনেছে অটোরিকশাগুলো। সমাবেশে বক্তারা লাইসেন্সের ব্যবস্থা নীতিমালা তৈরিসহ সহ ৫ দফা দাবি পূরণে প্রশাসনের কাছে আহবান করেন।