কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] রোববার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, মন্টেরিতে বসবাসকারী মোক্তার হোসেনকে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য পর্যবেক্ষণের আওতায় মুক্ত রাখারও দণ্ড দেয়া হয়েছে।
[৩] মামলার বিবরণ অনুযায়ী, তিনি ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮’র আগস্ট পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে আনার পরিকল্পনা করেছেন। হোসেন মেক্সিকোর মন্টেরিতে থেকে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
[৪] তিনি একটি হোটেলের ব্যবস্থা রেখেছিলেন যেখানে বহিরাগতরা যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথে আশ্রয় গ্রহণ করতেন। এসব বহিরাগতকে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পৌঁছে দেয়ার জন্য হোসেন গাড়িচালকদের অর্থ দিতেন এবং কীভাবে রিও গ্র্যান্ডে নদী পার হতে হবে সে বিষয়ে বহিরাগতদেরকে পরামর্শ দিতেন।
[৫] জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের ক্রিমিনাল ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ডেভিড পি. বার্নস বলেন, মামলার আসামি একটি সংগঠিত চোরাচালান নেটওয়ার্কের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন যিনি মুনাফার জন্য কাজ করতেন এবং যেসব বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাইতো তাদেরকে শিকার বানাতেন।
[৬] সীমান্ত নিরাপত্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা আসলে একই বিষয়’ বলে মন্তব্য করেন টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলার জন্য নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি রায়ান কে. প্যাট্রিক।
[৭] তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই জানতে হবে কারা আমাদের দেশে প্রবেশ করছে এবং কাউকেই আমরা অবারিত সুযোগ দিতে পারি না।
আপনার মতামত লিখুন :