 
    
সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ওয়াসার কাছ থেকে খালের দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পরই খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদে আমরা কাজ শুরু করেছি। যত প্রভাবশালী হোক না কেন খাল দখলদার কেউ ছাড় পাবে না।
[৩] মেয়র বলেন, মানচিত্র অনুযায়ী খালের জায়গায় যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে, তা একতলা হোক বা দশ তলা হোক, ভেঙে ফেলা হবে। এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য খালেও এই অভিযান চালানো হবে।
[৪] ডিএসসিসির মেয়র বলেন, সিএস জরিপ অনুসারে অনতিবিলম্বে ঢাকা শহরের খালের সীমানা চিহ্নিত করে খালের দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পুনঃখনন করে পানি ধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি, পাড় বাঁধাই করে সবুজায়ন, ওয়াকওয়ে ও সাইকেল লেন তৈরির করা হবে।
[৫] আতিকুল ইসলাম বলেন, পানিপ্রবাহের জন্য খাল উদ্ধারের বিকল্প নেই। এবার খালের সীমানার মধ্যে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পিছু হটবে না ডিএনসিসি। জায়গা উদ্ধারের দুই ঘণ্টা পর আবার দখলের সুযোগ দেয়া হবে না। জনগণের সহযোগিতা নিয়ে খাল উদ্ধার করা হবে।
[৬] সোমবার ইব্রাহিমপুর এলাকায় খাল পরিষ্কারকরণ ও খালের দুই পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন শেষে একথা বলেন। পরিদর্শনকালে ইব্রাহিমপুর বাজার খাল পাড়ের কালভার্টের দুই পাশে অবৈধভাবে খালের উপর নির্মিত একটি তিনতলা ভবনসহ কয়েকটি টিনশেড দোকান উচ্ছেদ করে।
[৭] এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মোল্লা, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশীদ জনি উপস্থিত ছিলেন।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
