শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারী, ২০২১, ১০:৪৯ দুপুর
আপডেট : ০২ জানুয়ারী, ২০২১, ১০:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমান উদ দৌলা: মোনাজাতউদ্দিনকে নিয়ে আমি একটি গ্রন্থ লিখবো, তার কাছে আমার অনেক ঋণ আছে, একটা গ্রন্থ লিখলেও সে ঋণ শোধ হবে না

আমান উদ দৌলা : মোনাজাতউদ্দিনকে নিয়ে আমি একটি গ্রন্থ লিখবো। তার কাছে আমার অনেক ঋণ আছে। একটা গ্রন্থ লিখলেও সে ঋণ শোধ হবে না। সাংবাদিকতায় যে ২-৩ জনকে অভিভাবক-শিক্ষক মানি। তার একজন তিনি। ১৯৭৮ সাল থেকে তিনি আমার ওস্তাদ। আমি তখন সাপ্তাহিক মহাকাল (রংপুর) এবং দৈনিক দেশ-এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি (কিছুদিন)। তিনি দৈনিক সংবাদের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি। চিলমারী থানায় (তখন উপজেলা হয়নি) সিরিজ করলেন তিনি। আমি তাকে সাহায্য করেছি। এরপর কুড়িগ্রাম শহরে সিরিজ। যখন তিনি কাজ করতেন কোনো এলাকায়। তার কয়েকদিন পর সংবাদে পাঠাতেন। পোস্টে পৌঁছতো ঢাকায়। যখন ছাপা হতো তখন তিনি অন্য এলাকায়। ঢাকাতে যখন আসে তখন আমি বিভিন্ন সাপ্তাহিকে কাজ করছি। এরশাদের আমলের প্রথম দিকে কাজ করি। তখন যুব ইউনিয়নের সম্মেলন হচ্ছিলো। তিনি একসঙ্গে সারাদেশের ছেলেদের এক-সঙ্গে ইন্টারভিউ করবেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটর খেলার মাঠের ঘরে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। তখন আমি শিখলাম। তার অভিনব উপায়। ১০০ জনের উপরে তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে। সবাইকে সাদা কাগজ দিলেন। আমি তাকে সাহায্য করছিলাম। তিনি জোরে চিৎকার করে বললেন। নাম-ঠিকানা লেখো। তারপর প্রশ্ন-১ তোমরা কি করো? এলাকায় কাজ-কর্ম পাওয়া যায় কিনা? শ্রমিকরা কোথায় কাজ করে। শহরে নাকি গ্রামে? কয়বেলা ভাত খায় তারা? ইত্যাদি। আরো অনেক চিত্র। তিনি এরপর সব কাগজ এক করে। তারপর নিজে যেখানে উঠতেন। সেখানে সব কাগজ কম্পাইলের কাজ করে। সিরিজ লিখতেন সংবাদে। এলাকার তরুণদের চোখে। কেমন আছে বাংলাদেশ।

১৯৯৫ সালে তাকে আমি সংবাদ থেকে জনকন্ঠে নিয়ে আসার ব্যপারে তোয়াব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেই। তিনি যেমন তার ইচ্ছা। বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় কাজ করে যাচ্ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমি স্তব্দ হয়ে যাই। সাঁতার না জানার জন্য। যমুনায় ডুবে মারা যান। রেজওয়ানুল হক রাজাকে অফিস পাঠিয়ে দেয়। তার দাফনে অংশ নেবার জন্য। থ্যাংস গড, আমার স্তব্ধতা তখনো কাটেনি। আমাকে রংপুরে পাঠায়নি ভালো হয়েছে। আমি আমার বইতে তাকে নিয়ে লেখার সময়। ৩ জনের ইন্টারভিউ নেবো। একজন তার স্ত্রী। ২য়, যার সঙ্গে যমুনার স্টিমারে শেষ কথা হয়েছে। এবং জুলফিকার আলি মাণিক ( এখন নিউইয়র্ক টাইমসের বাংলাদশ প্রতিনিধি)। মাণিক অনেকদিন মোনাজাত ভাইয়ের সঙ্গে ঘোরা-ফেরা করেছে। সেই মাণিক আর আমি একমত একটা ব্যপারে।

সম্ভবত এই ইন্টারভিউতে। আমি সত্যের প্রায় কাছাকাছি একটা তথ্য বের করতে পারবো। তার মৃত্যুতে আমি শোক প্রকাশ করছি। ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৯৫। আজ মোনাজাতউদ্দিন যমুনার পানিতে ডুবে মারা যান। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়