শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারী, ২০২১, ১০:৪৯ দুপুর
আপডেট : ০২ জানুয়ারী, ২০২১, ১০:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমান উদ দৌলা: মোনাজাতউদ্দিনকে নিয়ে আমি একটি গ্রন্থ লিখবো, তার কাছে আমার অনেক ঋণ আছে, একটা গ্রন্থ লিখলেও সে ঋণ শোধ হবে না

আমান উদ দৌলা : মোনাজাতউদ্দিনকে নিয়ে আমি একটি গ্রন্থ লিখবো। তার কাছে আমার অনেক ঋণ আছে। একটা গ্রন্থ লিখলেও সে ঋণ শোধ হবে না। সাংবাদিকতায় যে ২-৩ জনকে অভিভাবক-শিক্ষক মানি। তার একজন তিনি। ১৯৭৮ সাল থেকে তিনি আমার ওস্তাদ। আমি তখন সাপ্তাহিক মহাকাল (রংপুর) এবং দৈনিক দেশ-এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি (কিছুদিন)। তিনি দৈনিক সংবাদের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিনিধি। চিলমারী থানায় (তখন উপজেলা হয়নি) সিরিজ করলেন তিনি। আমি তাকে সাহায্য করেছি। এরপর কুড়িগ্রাম শহরে সিরিজ। যখন তিনি কাজ করতেন কোনো এলাকায়। তার কয়েকদিন পর সংবাদে পাঠাতেন। পোস্টে পৌঁছতো ঢাকায়। যখন ছাপা হতো তখন তিনি অন্য এলাকায়। ঢাকাতে যখন আসে তখন আমি বিভিন্ন সাপ্তাহিকে কাজ করছি। এরশাদের আমলের প্রথম দিকে কাজ করি। তখন যুব ইউনিয়নের সম্মেলন হচ্ছিলো। তিনি একসঙ্গে সারাদেশের ছেলেদের এক-সঙ্গে ইন্টারভিউ করবেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটর খেলার মাঠের ঘরে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। তখন আমি শিখলাম। তার অভিনব উপায়। ১০০ জনের উপরে তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে। সবাইকে সাদা কাগজ দিলেন। আমি তাকে সাহায্য করছিলাম। তিনি জোরে চিৎকার করে বললেন। নাম-ঠিকানা লেখো। তারপর প্রশ্ন-১ তোমরা কি করো? এলাকায় কাজ-কর্ম পাওয়া যায় কিনা? শ্রমিকরা কোথায় কাজ করে। শহরে নাকি গ্রামে? কয়বেলা ভাত খায় তারা? ইত্যাদি। আরো অনেক চিত্র। তিনি এরপর সব কাগজ এক করে। তারপর নিজে যেখানে উঠতেন। সেখানে সব কাগজ কম্পাইলের কাজ করে। সিরিজ লিখতেন সংবাদে। এলাকার তরুণদের চোখে। কেমন আছে বাংলাদেশ।

১৯৯৫ সালে তাকে আমি সংবাদ থেকে জনকন্ঠে নিয়ে আসার ব্যপারে তোয়াব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেই। তিনি যেমন তার ইচ্ছা। বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় কাজ করে যাচ্ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমি স্তব্দ হয়ে যাই। সাঁতার না জানার জন্য। যমুনায় ডুবে মারা যান। রেজওয়ানুল হক রাজাকে অফিস পাঠিয়ে দেয়। তার দাফনে অংশ নেবার জন্য। থ্যাংস গড, আমার স্তব্ধতা তখনো কাটেনি। আমাকে রংপুরে পাঠায়নি ভালো হয়েছে। আমি আমার বইতে তাকে নিয়ে লেখার সময়। ৩ জনের ইন্টারভিউ নেবো। একজন তার স্ত্রী। ২য়, যার সঙ্গে যমুনার স্টিমারে শেষ কথা হয়েছে। এবং জুলফিকার আলি মাণিক ( এখন নিউইয়র্ক টাইমসের বাংলাদশ প্রতিনিধি)। মাণিক অনেকদিন মোনাজাত ভাইয়ের সঙ্গে ঘোরা-ফেরা করেছে। সেই মাণিক আর আমি একমত একটা ব্যপারে।

সম্ভবত এই ইন্টারভিউতে। আমি সত্যের প্রায় কাছাকাছি একটা তথ্য বের করতে পারবো। তার মৃত্যুতে আমি শোক প্রকাশ করছি। ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৯৫। আজ মোনাজাতউদ্দিন যমুনার পানিতে ডুবে মারা যান। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়