মো. ইউনূছ: কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের তা’লীমুল কোরআন ওয়াল হিকমাহ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ ওমর ফারুক (৩২) কতৃক শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিকীকে বলাৎকারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় অধিবাসীদের সূত্রে জানা যায়, হাফেজ ওমর ফারুক গত ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিকী (১১)কে মাদ্রাসার টয়লেটে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। ঘটনার পর নির্যাতিত শিক্ষার্থী যাতে মাদ্রাসা ত্যাগ করতে না পারে শিক্ষক ওমর ফারুক তাকে কড়া নজরদারিতে রাখে। পরদিন ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওমর ফারুক মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে বিষয়টি তার পিতাসহ নিকট আত্মীয় স্বজনদেরকে জানালে তারা মাদ্রাসায় ছুটে আসেন।
মূহুর্তের মধ্যেই বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার লোকজনরা দলেবলে মাদ্রাসায় ছুটে এসে শিক্ষক ওমর ফারুককে গণধোলাই দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। খবর পেয়ে কচুয়া থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে শিক্ষক ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। একইদিন সন্ধ্যায় শিক্ষক ওমর ফারুককে বলৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে শিক্ষক পদ থেকে বহিষ্কার করে।
গত বুধবার কিশোর আবু বকর সিদ্দিকীর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১৯।
কচুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. মহিউদ্দিন জানান, এ ঘটনার গ্রেফতারকৃত হাফেজ ওমর ফারুককে কোর্টে সোপর্দ করার পর তাকে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া কিশোর আবু বকর সিদ্দিকীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্যে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলায় ২২ ধারা বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন হাফেজ ওমর ফারুক।
এ ঘটনায় এলাকার লোকজনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ, ঘৃণা ও ধিক্কারের সৃষ্টি হয়েছে। সর্বমহল থেকে দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি উঠেছে। সম্পাদনা : রাশিদ