সুজন কৈরী : [২] রাত ১২টা ১ মিনিট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় থেমে থেমে পটকার আওয়াজ আর ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ বলে চিৎকার। রাজধানীবাসী বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জন এবং পরিবার নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেন। বরণ করেন ২০২১ কে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে নববর্ষের প্রথম প্রহর উদযাপন চার দেয়ালে আর বাড়ির ছাদে সীমাবদ্ধ ছিলো।
[৩] রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদেই মানুষের অবস্থান দেখা গেছে। কেউ ফানুস উড়াচ্ছেন আবার কেউ ফুটাচ্ছেন বর্ণিল আতশবাজি। কোনো কোনো ছাদে সাউন্ড সিস্টেমে বাজছে গান।
[৪] করোনা পরিস্থিতির কারণে ডিএমপির দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ভবনের ছাদেও উৎসব নিষিদ্ধ হলেও এ নিয়ে পুলিশ খুব একটা মাথা ঘামায়নি।
[৫] তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার বাসিন্দা স্বপন বলেন, প্রতি বছরই আমরা আতশবাজি ফুটিয়ে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করি। সবাই মিলে আনন্দ করি।
[৬] এদিকে থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা রয়েছে রাজধানীতে। রয়েছে চেকপোস্ট, নিষিদ্ধ রয়েছে আতশবাজি-পটকা ফোটানো। সেইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান-বনানীর কূটনীতিক এলাকা, হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন স্থানে জনসাধারণের চলাচল রয়েছে সীমিত।
[৭] সরেজমিনে রাজধানীর ঢাবি এলাকা, গুলশান, বনানী ও হাতিরঝিল, কলাবাগান, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সড়কগুলোকে যান চলাচল কম দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহারও ছিলো সীমিত। গণপরিবহন না পাওয়ায় পায়ে হেঁটে ফিরতে হয়েছে অনেককেই।
[৮] রাজধানীজুড়ে রয়েছে র্যাব-পুলিশের কড়া টহল। মদ্যপান করে সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো বন্ধ, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ প্রতিহতে রাজধানীতে নিয়োজিত ছিলো র্যাব-পুলিশের একাধিক বিশেষ টিম।
[৯] হাতিরঝিলের কুণিপাড়ার অংশে গিয়ে দেখা গেছে, চলাচলের রোডে ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। দায়িত্ব পালন করা পুলিশের কয়েকজন সদস্য লোকজন যেতে চাইলে তাদের বাধা দিয়ে ঘুরে যেতে বলেন। এছাড়া হাতিরঝিলের অন্য অংশগুলোর প্রত্যেকটিতে ব্যারিকেড দেয়া। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব