দেবদুলাল মুন্না:[২] ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, টিকা নেয়ার পর আর মানুষকে আটকে রাখা যাবে না। অনেকেই হয়ত দীর্ঘদিনের বন্দিদশা কাটিয়ে আবার আগের মতো জীবনযাপন করবেন। ফলে কে টিকা নিয়েছে, আর কে নেয়নি, তা নির্ধারণ করা কঠিন হবে বলে ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ আবশ্যিক হিসেবে নিতে হবে বলে জানালো সংস্থাটি। খবর সিএনএন ও স্টেটওয়াচ।
[৩] টিকা গ্রহণের সমস্ত তথ্য নির্দিষ্ট সার্ভারে আপলোড করলেই পাওয়া যাবে এই পাসপোর্ট। বাংলাদেশেও তাই যারা টিকা নেবেন, তাদের টীকা গ্রহণের সমস্ত তথ্য ও তার ডিজিটাইজড কপি সংরক্ষণের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।
[৪] এ প্রক্রিয়া সহজ করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট অ্যাপ’ তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে । বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি স্মার্টফোন অ্যাপ উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে। যেখানে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সব তথ্য আপলোড করা যাবে।
[৫] স্টেটওয়াচ জানায়, জেনেভাভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান দ্য কমন প্রজেক্ট ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের উদ্যোগে গঠিত দ্য কমন ট্রাস্ট নেটওয়ার্কের উদ্যোগের আওতায় কমনপাস নামের একটি অ্যাপ এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। বলা হচ্ছে অ্যাপটি টিকা গ্রহণ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নিয়ে এ সম্পর্কিত সনদের কিউআর কোড জেনারেট করবে।
[৬] এ সম্পর্কে ‘দ্য কমন প্রোজেক্ট’ এর প্রধান বিপণন ও যোগাযোগ কর্মকর্তা থমাস ক্র্যাম্পটন সিএনএন বিজনেসকে বলেন,‘ আইবিএমের মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও একই ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে।’