শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:৩২ সকাল
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফিরে দেখা: প্রণব মুখার্জি, হোসনি মোবারকসহ বিশ্ব যাদের হারিয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: প্রণব মুখার্জি, হোসনি মোবারক ও কুয়েতি আমির শেখ সাবাহ। ২০২০ সালে বিশ্ব থেকে বিদায় নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত অনেক মানুষ। এর মধ্যে আলোচিত ব্যক্তিরা হলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, দিয়াগো ম্যারাডোনা, হোসনি মোবারক, কুয়েতি আমির শেখ সাবাহ, অভিনেতা ইরফান খান ও মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি। আসুন জেনে নিই বিস্তারিত-

প্রণব মুখার্জি

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এ বছরের ৩১ আগস্ট পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারের পর তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৮৫ বছর।

এর আগে গত ৯ আগস্ট রাতে দিল্লির বাড়িতে বাথরুমে পড়ে গুরুতর আহত হন প্রণব মুখার্জি। পর দিন সকাল থেকে তার স্নায়ুতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এমআরআই করে দেখা গেছে মাথার ভেতর রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার উন্নতি হয়নি। ১৩ আগস্ট থেকে তিনি গভীর কোমায় চলে যান।
প্রণব মুখার্জি দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তির পর ধরা পড়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত। এমন অবস্থাতেই ওই দিন রাতে দীর্ঘ অস্ত্রোপচার হয় তার। এর পরেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল প্রণব মুখার্জিকে। অস্ত্রোপচারের আগে নিজের করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর টুইট করে জানিয়েছিলেন তিনিই।

হোসনি মোবারক

এবছরের শুরু দিকে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক কায়রোর একটি হাসপাতালে মারা যান। প্রায় ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ৯১ বছর বয়সে মারা যান।

১৯৮১ সালে প্রথমবার মিসরের ক্ষমতায় আসেন হোসনি মোবারক। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া ১৮ দিনের অভ্যুত্থানে ১১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।

কিন্তু অভ্যুত্থানের দিনগুলোতে তার নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২৩৯ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন বলে আদালতে প্রমাণিত হয়। ফলে ২০১২ সালে নিম্ন আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরবর্তীতে দেশটিতে গণতন্ত্রের সুবাতাস বয়ে যায়। দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হন মোহাম্মদ মুরসি। কিন্তু তিনি তৎকালীন সেনাপ্রধান আবদেল ফাতাহ সিসির হাতে ক্ষমতাচ্যুত হন। পরে জোর করে ক্ষমতা দখল করা স্বৈরশাসক সিসি সাবেক স্বৈরাচার হোসনি মোবারকের মুক্তিতে ভূমিকা রাখেন। সিসি সরকার তাকে আপিল বিভাগের রায়ে বেকসুর খালাস দেয়। ২০১৭ সালের মার্চে মুক্তি পান তিনি।

১৯২৮ সালে জন্ম নেয়া হোসনি মোবারক তরুণ বয়সে মিসরের বিমান বাহিনীতে পাইলট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। পরে এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হয়ে যান তিনি। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতাসীন হন মোবারক।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়াতেও ভূমিকা রাখেন তিনি। তার আমলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হয়ে ওঠে মিসর। এ সময় মিসর শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা পেলেও বেকারত্ব, দারিদ্র্য ও দুর্নীতি বাড়তে থাকে। আর এর জের ধরেই আরব বসন্তের অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছাড়তে হয় তাকে।

কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ

এ বছরের শেষদিকে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ ৯১ বছর বয়সে মারা যান। অসুস্থ হয়ে কুয়েতের হাসপাতালে কিছুদিন ভর্তি থাকার পর গত জুলাইয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ সাবাহ যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সেখানেই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
শেখ সাবাহ ২০০৬ সাল থেকে কুয়েতের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। আর প্রায় ৫০ বছর ধরে দেশটির পররাষ্ট্র নীতি তদারক করেছেন তিনি।

১৯৯০-৯১ সালে ইরাকের কুয়েত আগ্রাসনকে সমর্থন দেওয়া দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ভূমিকার জন্য সাবাহকে বলা হত ‘আরব কূটনীতির ডিন’।

তাছাড়া, আঞ্চলিক নানা বিরোধ নিস্পত্তিতেও মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন করেছিলেন শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ।সম্প্রতি সৌদি আরব ও এর মিত্র দেশ এবং কাতারের মধ্যকার কূটনৈতিক অচলবস্থা নিরসনে কাজ করেছিলেন তিনি।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকেও কুয়েতকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন সাবাহ। যুদ্ধে জড়ানোর বদলে দেশটিতে মানবিক ত্রাণ সহায়তার জন্য বেশ কিছু দাতা সম্মেলন আয়োজন করেছিলেন কুয়েতের এই আমির।

২০০৬ সালে কুয়েতের তৎকালীন আমির শেখ সাদ আল-আবদুল্লাহর পদত্যাগের পর জানুয়ারিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন শেখ সাবাহ আল-আহমেদ আল-সাবাহ।
এর আগে তিনি কুয়েতের আরেক সাবেক আমির শেখ জাবের আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহর অধীনে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এরও আগে ১৯৬৩ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন শেখ সাবাহ।
বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম তেলের ভান্ডার এবং যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদেশ কুয়েত।দেশটির ৪৮ লাখ জনসংখ্যার ৩৪ লাখই বিদেশি।
গত ২৬০ বছর ধরে কুয়েত শাসন করছে সাবাহ পরিবার।দেশটির রাজনৈতিক বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন আমিরই। পার্লামেন্ট বাতিল করা কিংবা ভেঙে দিয়ে নির্বাচন ডাকার ক্ষমতাও থাকে আমিরের হাতে।

কেন শিমুরা

বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ‘কাইশ্যা’ নামে পরিচিতি জাপানের কমেডিয়ান কেন শিমুরাও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জ্বর ও নিউমোনিয়ার কারণে ৭০ বছর বয়সী কেন শিমুরাকে ২০ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর তিন দিন পর করোনাভাইরাস ধরা পড়ে তার। তিনি ১৯৭০ সালের দিকে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। বিশ্বজুড়েই কমেডিয়ান হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় শিমুরা। বাংলাদেশে ‘পাগলা ডিরেক্টর’ নামের একটি অপেশাদার অনলাইনভিত্তিক গ্রুপ কেন শিমুরা অভিনীত বিভিন্ন ধারাবাহিক ডাবিং করে ফেইসবুক এবং ইউটিউবে প্রচার করে। সেটি সব বয়সীর মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে বাংলায় ডাবিং করা ‘জীবনটা বেদনা, কিছু ভালো লাগে না’ সংলাপটি দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

এ বছর হারিয়ে ফেলা সব আন্তর্জাতিক তারকার মধ্যে উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে হারানার বেদনা বাংলাদেশি দর্শকের কাছে সবচেয়ে কষ্টের। ৮৫ বছরে গত ১৫ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২টার কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়েই তিনি ৬ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর কয়েক দফায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ও উন্নতির খবর পাওয়া যায়। করোনা থেকে মুক্ত হয়েছিলেন সৌমিত্র। অন্যান্য জটিল রোগের কাছে পরাস্ত হয়ে কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে বিদায় নেন এই কিংবদন্তি। তিনি একাধারে ছিলেন অভিনেতা, মঞ্চনাটক নির্দেশক, প্রযোজক, গল্পকার, কবি, আবৃত্তিকার। পেশাজীবন শুরু হয়েছিল ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে। পরে সিনেমার জন্য ডাক পান ১৯৫৯ সালে, অস্কারজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’ সিনেমার জন্য। এরপর তিনি সত্যজিৎ রায়ের ২৭টি সিনেমার ১৪টিতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত চরিত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘ফেলুদা’। সত্যজিৎ ছাড়াও তিনি মৃণাল সেন, তপন সিংহ, অজয় করের মতো কালজয়ী নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। ভারত সরকার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ২০০৪ সালে ‘পদ্মভূষণ’ ও ২০১২ সালে ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ দিয়ে সম্মানিত করেছে। এছাড়াও ২০১৭ সালে তিনি ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ‘লিজিওন অব অনার’ লাভ করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার একই বছরে তাকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কার প্রদান করে। তবে ২০১৩ সালে এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

ঋষি কাপুর
সদা হাস্যোজ্জ্বল বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ঋষি কাপুর ক্যানসারের সঙ্গে পরাজিত হয়ে ৬৭ বছর বয়সে চলে যান। মুম্বাইয়ের স্যার এইচ এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। ২০১৮ সালে ঋষি কাপুরের ক্যানসার ধরা পড়ে, ১ বছরের বেশি সময় আমেরিকার নিউইয়র্কে চিকিৎসা হয়। চিকিৎসা শেষে ভারতে ফেরার পর ফেব্রুয়ারিতে ফের তাকে ২ বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন সেখানেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ঋষি কাপুরকে শেষ দেখা গেছে ইমরান হাসমির বডি ছবিতে, যা গত বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পায়। তাকে দেখা যাবে দ্য ইনটার্ন-এর হিন্দি রিমেকে দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে। নিউ ইয়র্ক থেকে ফেরার পর শর্মাজি নমকিন নামে একটি ছবিতে জুহি চাওলার সঙ্গে শ্যুটিং শুরু করেন কিন্তু তার অসুস্থতার কারণে শ্যুটিং বাতিল করা হয়।

ইরফান খান
মাত্র ৫৩ বছর বয়সে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েই মারা যান বলিউডের অত্যন্ত মেধাবী অভিনেতা ইরফান খান। ‘সøামডগ মিলিয়নিয়ার’-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। অভিনয় করেছেন বলিউড ও হলিউডের বহু ছবিতে। বাংলাদেশের নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ভারতের মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২০১৮ সালে এক টুইটার পোস্টে এই অভিনেতা জানান যে, তিনি এনডোক্রাইন টিউমারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এটি এমন এক ধরনের রোগ যেটি রক্তে হরমোনের সরবরাহকে বাধাগ্রস্ত করে। পরে তিনি লন্ডনের একটি হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ক্যানসার চিকিৎসা নিয়ে জনসম্মুখে কথা বলার দুই মাস পর তিনি এ বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি খোলা চিঠি লেখেন। যেখানে তিনি ক্যানসারের চিকিৎসা নেওয়ার সময় তার কষ্টের তীব্রতা এবং জীবনের অনিশ্চয়তার বিষয়টি তুলে ধরেন। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে তার ভক্তরা তাকে বাঁধভাঙা সমর্থন জানান। ২০১৩ সালে ‘পান পান সিং তোমার’ নামে একটি বায়োপিক সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য মি. খান ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

সুশান্ত সিং রাজপুত

এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত মৃত্যু বলিউডের উঠতি নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুতের। মাত্র ৩৪ বছরে মুম্বাইয়ের নিজ বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই ফল প্রকাশ করা হয়। তার মৃত্যুর পর বলিউডে নানা তর্কবিতর্ক শুরু হয। বেরিয়ে আসে অনেক গোপন তথ্য। এখনো সেই বিতর্ক চলছে। ‘পবিত্র রিশতা’ টেলিভিশন সিরিয়াল থেকেই পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন সুশান্ত। ২০১৩ সালে ‘কাই পো চে’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। শুদ্ধ দেশি রোমান্স (২০১৩), এমএস ধোনি বায়োপিক (২০১৬), কেদারনাথ (২০১৮), ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী (২০১৫ ) ও পিকে (২০১৪), ছিঁছোরে (২০১৯) এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল মৃত্যুর পর মুক্তি পাওয়া ‘দিল বেচারা’ ছবিতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়