ওয়ালি উল্লাহ, জুয়েল বড়ুয়া : [২] মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে একটার দিকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাসানচর পৌছেছে জাহাজটি।
[৩] কক্সবাজারের ঘিঞ্জি শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে দ্বিতীয় দফায় স্বেচ্ছায় ৪২৭ পরিবারের আরও ১ হাজার ৭৭২ রোহিঙ্গা।
[৪] চট্টগ্রামের বোর্ড ক্লাব থেকে তারা নৌবাহিনীর জাহাজ এলসিইউ (ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি) মাধ্যমে ভাসানচরে পৌঁছাবে।
[৫] এর আগে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় দ্বিতীয় বারের ২৩টি বাস রওনা হয়। প্রতি বাসে ৩০-৩৫জন রোহিঙ্গা ছিলো। রোহিঙ্গাদের বহনকারি বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র্যাব, পুলিশ,এম্বুল্যান্স গাড়ি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।
[৬] রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে গত দু'মাস ধরেই চলছে নানা ষড়যন্ত্র। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যেমন এর বিরোধিতা করছে, তেমনি নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে দেশি-বিদেশি নানা সংস্থা। এর মাঝে দ্বিতীয় দফায় স্বপ্রণোদিত হয়ে ভাসানচর যেতে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির ত্যাগ করেছেন ১ হাজার ৭৭২ জন রোহিঙ্গা। ৪২৭টি পরিবারের এসব রোহিঙ্গা সোমবার দুপুরেই বাসযোগে কক্সবাজার ছেড়ে চট্টগ্রাম আসেন।
[৭] সরকার ১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরের পরিকল্পিত আবাসনসহ আধুনিক সব জীবন-যাত্রার ব্যবস্থা করে রেখেছে। পর্যায়ক্রমে নির্ধারিত রোহিঙ্গাদের এখানে স্থানান্তর করা হবে।
[৮] গত ২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। একই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয় সরকার।
[৯] সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।বর্তমানে সেখানে ৩০৬ জন রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যারা সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে গত মে মাসে ফিরে এসেছিল। সম্পাদনা: হ্যাপি