ডেস্ক রিপোর্ট: শ্রম আদালতের মামলাগুলো ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও বড় বড় কোম্পানিগুলোর মামলা ৭-৮ বছর ধরে চলতে থাকে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস। সংগঠনটি বলছে, এই মামলাগুলো নিষ্পত্তি হতে বিশেষ কারণে ৬০ দিন থেকে ৯০ দিন বা ১৫০ দিন লাগতে পারে। কিন্তু ৭-৮ বছর গড়ানো কোনোভাবেই কাম্য নয়। বাংলাদেশ প্রতিদিন
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ‘শোভন কাজের আলোকে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ : বাস্তবতা ও উন্নয়নের সুপারিশ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়। বিলস আয়োজিত এ কর্মশালায় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টরগুলোর মধ্যে প্রথম হচ্ছে গার্মেন্ট সেক্টর। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে গণমাধ্যম। এই সেক্টরের উন্নয়নে আরও কাজ করতে হবে। আমাদের আইনে অনেক কিছু থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই। আমাদের খারাপ আইনগুলোর ভালো প্রয়োগ হচ্ছে, ভালো আইনগুলোর প্রয়োগ হচ্ছে না। বিলসের মহাসচিব ও নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম খান বলেন, শ্রম আইন ও বিধিমালা আরও সংশোধন করতে হবে। এজন্য একটি কমিটি হয়েছে। কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধিরা যাতে ভালোভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের শ্রম আইন অনেক উন্নত। কিন্তু এই আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী, বিলসের পরিচালক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী নাজমা ইয়াসমিন প্রমুখ। কর্মশালায় বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম আলোচ্য বিষয়ের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। এতে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সব শ্রমিককে শ্রম আইনের আওতায় আনা, সব শ্রমিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রম আইনে প্রয়োজনীয় বিধান অন্তর্ভুক্ত করা, জাতীয় পেনশন স্কিম চালু করা, শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়ানোসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।