চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: [২] দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[৩] এ তথ্য জানান আমাদের সীতাকুন্ড প্রতিনিধি। সরজমিনে কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেন ৬নং বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ।
[৪] এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি তিনি।
[৫] একইভাবে সীতাকুন্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়।
[৬] তিনি বলেন, সকালে ভোটের শুরুতেই বিচ্ছিন্ন কিছু সমস্যা হয়েছে দু’এক জায়গায়। এর মধ্যে সীতাকুন্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
[৭] তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পৌরসভার ১৭টি কেন্দ্রে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ, ২ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১ হাজার ৬০০ সদস্য। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্সও রয়েছে।
[৮] এদিকে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের দাবি-পৌরসভার অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রের বিএনপির এজেন্টদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল মনছুরকেও একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
[৯] স্থানীয়রা জানান, এবারের নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। তাই শুরু থেকেই ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছিলো। ভোটের শুরুতেই সংঘর্ষের এ ঘটনা সারাদিন ভোট প্রদানে প্রভাব ফেলবে।
[১০] কিন্তু উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সহকারী রিচার্নিং অফিসার বুলবুল আহমেদ বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠ, সুন্দর ও নিরপেক্ষ করতে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচন পরিস্থিতি এখনও শন্ত রয়েছে। প্রার্থীদের আচরণের ওপর নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
[১১] নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা নির্বাচনে মোট পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১৭ হাজার ৮২৭ জন এবং নারী ভোটার ১৬ হাজার ৯৮৬ জন। ৩টি সংরক্ষিত ও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৭২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগের ৪৫ জন প্রার্থী। তারা দলের বিভিন্ন পদেও রয়েছেন।
[১২] স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংকট সমাধান তথা একক প্রার্থী নির্ধারণে একাধিকবার বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে গত ১০ই ডিসেম্বর দলটির ৮ কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেও অন্যরা থেকে যান।
[১৩] আওয়ামী লীগের বিপরীতে প্রতিটি ওয়ার্ডে বিএনপির একক কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়াও জামায়াতের ৩, জাতীয় পার্টির ২ ও স্বতন্ত্র ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :