কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] শুক্রবার বড়দিন উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশের মানুষ আবহমানকাল ধরে পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ।
[৩] রাষ্ট্রপতি বলেন, বিদ্যমান সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
[৪] সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারসহ পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করার লক্ষ্যে যুগে যুগে যেসব মহামানব পৃথিবীতে এসেছেন যিশু খ্রিস্ট তাদের অন্যতম। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহŸান জানিয়েছেন।
[৫] পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি বাংলাদেশ। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
[৬] পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তনই ছিল যিশু খ্রিস্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য যিশু নিজেকে উৎসর্গ করেছেন এবং তার জীবনাচারণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।
[৭] প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারির এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাইকে এবারের বড়দিন পালনের আহ্বান জানাই। সৃষ্টিকর্তা আমাদের দেশ ও জাতি তথা বিশ্ববাসীকে এই মহামারি হতে যেন মুক্তি দেন সেই প্রার্থনা করি।
[৮] সবাই মিলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
[৯] রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বড়দিন উপলক্ষে সবার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।