শরীফ শাওন: [৩] ‘সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম পরিচালনা নীতিমালা -২০২০’ তৈরি করেছে সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সাম্প্রদায়িকতা এবং জঙ্গিবাদমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সংস্কৃতি মনস্ক করে গড়ে তোলা, সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যমকে শিক্ষনীয় বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং শিল্প মাধ্যমে উপযুক্ত শিল্পী এবং শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পনাটি গৃহিত হয়।
[৪] খসড়াতে বলা হয়, প্রতিটি বিদ্যালয়ে মন্ত্রনালয় থেকে ১টি হারমোনিয়াম ও ১ সেট তবলাসহ এ বিষয়ে প্রশিক্ষক বাবাদ নির্দিষ্ট হারে অর্থ মঞ্জুরী দেয়া হবে। প্রশিক্ষকগণ সপ্তাহে ১ দিন ২ ঘণ্টাব্যাপি প্রশিক্ষণ দেবেন। দিনটিকে ঐ বিদ্যালয়ের ‘কালচারাল ডে’ হিসেবে গণ্য করা হবে। একজন প্রশিক্ষক সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারবে এবং পৃথক সম্মানী পাবেন।
[৫] ২০১৬-২৭ অর্থবছরে ১৮টি জেলায় ১০টি করে মোট ১৮০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এতে জেলা-উপজেলা শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাংস্কৃতি কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বাড়ায় সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
[৬] পরিকল্পনার অনুযায়ী, প্রতিবছর উপজেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করে জেলা এবং সর্বশেষ ঢাকায় জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এ বিষয়ে জেলা এবং ঢাকা শিল্পকলা একাডেমি সহায়তা করবে। মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানগুলোতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বছরের বিজয়ীকে অন্তভূক্ত করা হবে।
[৭] খসড়া নীতিমালাটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মতামত প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।