শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০২:৪৬ রাত
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০২:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দীপক চৌধুরী : বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বীরাঙ্গনাদের জন্য চলমান সকল সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হয়

দীপক চৌধুরী: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই সর্বাত্মক এই যুদ্ধে শামিল হয়েছিল সমানভাবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের দ্বারা নিপীড়িত হয়েছিলেন ‘একাত্তরের জননী’ গ্রন্থের লেখক চট্টগ্রামের রমা চৌধুরী। ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। একাত্তরে নির্যাতনের শিকার অনেক নারীর মতো এ নারীর জীবনেরও ট্র্যাজেডি হলো, যুদ্ধের পর স্বামীগৃহে তাঁর ঠাঁই মেলেনি। যুদ্ধকালে যেসব নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তাঁদের পুনর্বাসনের প্রয়োজন ছিল, স্বামীহারা বিধবাদের দরকার ছিল আশ্রয়। এসবই তখন বড় করে দেখা হয়েছে। পাশাপাশি ১৯৭১-এর নারী নির্যাতনকে বীরত্বের মহিমা দিয়ে ঢেকে দিতে চেয়েছে অনেকেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির নেতা, অন্যরকম। নির্যাতিত নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয়ভাবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন, ‘বীরাঙ্গনারা তাদের ঠিকানায় ধানন্ডি ৩২ এর উল্লেখ করবেন এবং তাদের পিতার নামের জায়গায় ব্যবহার করবেন বঙ্গবন্ধুর নাম।

পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সঙ্গে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ফলে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। সদ্য স্বাধীন দেশের গল্পে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাহিনী স্থান পেয়েছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্ভর স্বাধীনতা অর্জিত হওয়ায় দেশের সকল জনগণ ছিলো আনন্দে উদ্বেলিত। তবে, পাকিস্তানি সেনাদের পরাজয় স্বীকার ও আত্মসমর্পণের পরও অনেক নারীর যুদ্ধ শেষ হয়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবলেন বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর শাসনামলেই নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি সকলক্ষেত্রে আলোচিত হয়। এবং আজ প্রমাণিত সত্য যে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যা বলেন তা করেনও। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর যখন মুক্তিযোদ্ধাদের বীরের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে, তখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহায়তাকারীরা জোরপূর্বক যেসব নারীদের ক্যাম্পে নিয়ে গিয়েছিলো তাদের থেকে সমাজের মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়। সবচেয়ে ঘৃণ্য অধ্যায় ছিলো, অনেক পরিবার বীরাঙ্গনাদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারিভাতা নিলেও তাদেরকে পরিবারে ফিরিয়ে নেয়নি। এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, তাদের ’৭১-এর দোসরদের দ্বারা ধর্ষিত হওয়ায় সমাজের অবমাননার শিকার নারীদের পুনর্বাসনে জাতির পিতাই প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তবে দুর্ভাগ্য হলো, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বীরাঙ্গনাদের জন্য চলমান সকল সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

লেখক : উপসম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি, সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

 

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়