মাসুদ হাসান: হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেছেন,বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলার গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সে স্বপ্ন নিয়েইে তিনি ৭২-এর সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। বর্তমানের সংবিধানে জিন্নাহ সাহেব রয়েছেন, জিন্নাহ সাহেব বলতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্মে ইসলামের সাম্প্রদায়িকরণের কথা বোঝাতে চেয়েছি। আজকের বাংলাদেশের সাম্পদায়িকতা দেখে বোঝা যায়, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক দেশ।
[২] এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে আরও বলেন, আজকের যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু চায়নি। এই বাংলাদেশের জন্য বাংলার আপামর মানুষ দেশ স্বাধীন করার জন্য মুজিবুর রহমাননের ডাকে সাড়া দেননি। এই বাংলাদেশের জন্য ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দেননি। চেয়েছিলেন একটি অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন বাংলাদেশ।
[৩] এই বাংলাদেশকে যদি প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে রূপান্তারিত করতে হয় তাহলে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে রাজনীতিতে হিপোক্রেসি থাকা মোটেও উচিত নয়। রাজনীতি থেকে ধর্মকে মুক্ত করা উচিত। যতোক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৭২-এর সংবিধানে ফিরে আসবে না ততোক্ষণ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ফিরে আসবে না।
[৪] যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে, তাদের চেহারা নতুন নয়। তারা পাকিস্তান আমলে শহীদ মিনারের বিরোধিতা করেছে। তারা পাকিস্তান আমলে রবীদ্রনাথ ঠাকুরকে বর্জনের স্লোগান তুলেছিলো। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ধর্মের দোহাই দিয়ে তারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছেন। এই মহলটি স্বাধীনতার পর পরাজিত হয়েছে কিন্তু তাদের নির্মূল করা যায়নি। তারা ৪৯ বছর ধরে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে সমানভাবেই সক্রিয় আছেন। কখনো পত্যক্ষ কখনো পরোক্ষভাবে নানা কৌশলে তারা ৭২-এর পর থেকে রাজনীতিতে, রাষ্ট্রের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
[৫] এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে আদর্শ করে দিকে এগোতে হবে, না হলে আপামর বাঙালি জাতিকে বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এখন আপোসের চোরাবালিতে হাটা উচিত হবে না বলে আমি মনে করি। সরকারের উচিত এসব বিষয়গুলো ভালোভাবে মাথায় রেখে রাজনীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করা। এখন আপোস মানেই বিপর্যয়, আপোস মানেই মৃত্যু।