লিহান লিমা: [২] সুইডিশ জলবায়ু অধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ নিউজিল্যান্ডের ‘জলবায়ুর জরুরী অবস্থা’ ঘোষণা করাকে ‘তথাকথিত’ বলে মন্তব্য করায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্দা আর্ডেন বলেন, গ্রেটার ভাবনার চেয়েও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অনেক বেশি করছে নিউজিল্যান্ড। দ্য গার্ডিয়ান
[৩] টুইটে গ্রেটা বলেন, ‘২০২৫ সাল নাগাদ নিউজিল্যান্ড মাত্র ১ শতাংশেরও কম কার্বন নিঃসরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’ গ্রেটার সমালোচনার প্রেক্ষিতে আর্ডেন বলেন, ‘আমি তার টুইট দেখি নি। আমি এটাও বলছি না যে টুইট করার পূর্বে তার এ বিষয়ে ভালো করে জানার দরকার ছিলো। কিন্তু কার্বন নিঃসরণে আমারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদি কোনো সরকার সংক্ষিপ্ত লক্ষ্যমাত্রা দেখায় তবে সেটার সমালোচনা করা যায়, কিন্তু আমরা কেনো সংক্ষিপ্ত পথ নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য স্থায়ী লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছি।’
[৪]গত সপ্তাহে জ্যাসিন্দা আর্ডেন তার দেশে জলবায়ুর জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে বলেন, সরকারী খাতগুলোকে এখন থেকে শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক বা হাইব্রিড যান-বাহন কিনতে হবে। এবং সরকারী ভবনগুলোতে ব্যবহৃত ২০০ কয়লা-চালিত শিল্প সামগ্রী ধীরে ধীরে উঠিয়ে ফেলতে হবে।’ প্রসঙ্গত, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আইন পাশ করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা স্বল্প কয়েকটি দেশের একটি দেশ নিউজিল্যান্ড।