লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: [২] সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর নেয়াতম গ্রামে গৃবধুর বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষ অবস্থায় গৃহবধুকে উদ্ধার করে রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
[৩] পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়। এ ঘটনায় (সোমবার) সকালে জড়িত সন্দেহে মিরাজ (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সে একই গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে।
[৪] পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর নেয়াতম গ্রামে গৃবধূর তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলো। প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার শেষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে হঠাৎ একদল অজ্ঞাত লোক ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেই মা-বাবসহ পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। ধর্ষণ করেই ক্ষেন্ত হননি ঘাতকরা। ধর্ষণ শেষে পিটিয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়। এক পর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় ঘাতকরা। পরে তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা মূমুর্ষ অবস্থায় গৃহবধুকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায়।
[৫] এ ব্যাপারে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে মিরাজ নামে এক যুবককে আটক করা হয়ছে। এ ঘটনায় ভিকটিম পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ