আব্দুম মুনিব: [২] কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে ভাঙচুরের প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকিদাতারা চিহ্নিত রাজনৈতিক মোল্লা। সবসময় তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে ভূমিকা রেখেছে। গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি জামায়াত, জঙ্গী-রাজাকারের ভাড়াটে হিসেবে এখন তারা ভাষ্কর্যের বিপক্ষে হুংকার ছেড়েছে।
[৩] বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাঙার মধ্যদিয়ে এই রাজনৈতিক মোল্লারা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা, সংবিধান ও দেশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই অবস্থান নিয়েছে। ইনু বলেন, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এই অভিযোগে গ্রেফতার করে প্রত্যেককে সাজা দেওয়া বাঞ্ছনীয়। এদের কোন রকম ছাড় দেয়ার জায়গা নেই।
[৪] বিএনপির নিরবতা নিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাঙা নিয়ে পুরো দেশ যখন ক্ষুব্ধ তখনও অতিতের মত বিএনপি নিরবতা পালন করে কার্যত ভাষ্কর্য ভাঙার পক্ষেই অবস্থান নিয়ে উস্কানি দিচ্ছে।
[৫] সকাল সাড়ে ১০টায় পৌরসভার বিজয় উল্লাশ চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিন করে। পরে ৫ রাস্তার মোড়ে ভাংচুরকৃত বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যস্থলে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হাসানুল হক ইনু। পরে পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত ও স্থানীয় জাসদের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হাসানুল হক ইনু ভাংচুরকৃত ভাষ্কর্য পরিদর্শন করেন।
[৬] এদিকে, বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাংচুরের চার আসামীর পুলিশ রিমান্ড শুরু হয়েছে বুধবার। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত নিশিকান্ত সরকার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামীদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
[৭] ৪ ডিসেম্বর গত শুক্রবার রাত ২টা ১৬ মিনিটে অভিযুক্ত আসামি মাদ্রাসা ছাত্র সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ ও আবু বক্কর ওরফে মিঠুন হাতুড়ি দিয়ে কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে পৌরসভার নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে ভাংচুর করে। সম্পাদনা: সাদেক আলী