সমীরণ রায় : [২] আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর বলেন, পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ দেশ একটি অন্যতম অসাম্প্রদায়িক দেশ। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতে ভাস্কর্য রয়েছে। বাংলাদেশেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য থাকাটা স্বাভাবিক। ভাস্কর্য আর মুর্তি এক জিনিস নয়। এটা নিয়ে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।
[৩] তিনি বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের জন্যই বার বার লড়াই করেছেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, সেটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সোহরাওয়ার্দী। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের অবিস্মরণীয় বিজয়। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তাই সুধী সমাজে তিনি ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত হন। সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন। তার প্রচেষ্টায় ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়।
[৪] শনিবার রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকতে তার সমাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
[৫] এসময় সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সায়িদুর রহমান সাইদ, কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক, সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্করের নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আবুল বাশার, আব্দুল গফুর চোকদার, মুহাম্মদ আলম, মোহাম্মদ ইউনুস, মো. আনোয়ারুল হক, মমতাজ খানম, সাজ্জাদুল হক লিকু সিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খা, ফিরোজ আহম্মেদ তালুকদার, প্রচার সম্পাদক কাজী শফিউল আলম শফিক, দপ্তর সম্পাদক এম.এইচ এনামুল হক রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন সিদ্দিকী প্রমুখ।