শাহ্ আলী ফরহাদ: ৯৫ জন স্বাক্ষর করে ফতোয়া দিলো : ‘ভাস্কর্য হারাম, ভাঙার দায়িত্ব সরকারের’। লক্ষ্য করুন শেষের তিনটি শব্দ। ‘ভাঙার দায়িত্ব সরকারের’ মানে তারা ভাঙবে না। কারণ ভাঙার ক্ষমতা তাদের নেই। থাকলে এতো আলোচনা হতো না। যেই ধোলাইখাল থেকে চর্ম-নাই এই কথা প্রথম তুললো সেখান থেকেই এরা ভাঙ্গাভাঙ্গি শুরু করতো। একদম আইসিস যেভাবে ইরাকে ও সিরিয়ায় সুমেরিয়ান/আসিরিয়ান সভ্যতার নিদর্শনগুলো ধ্বংস করেছিল। ঠিক যেভাবে তালেবানরা আফগানিস্তানে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বামিয়ান বুদ্ধ ধ্বংস করেছিল।
এখন তাদের সেই ক্ষমতা নেই বলে ফতোয়া পর্যন্তই দৌড়, ক্ষমতা পেলে এক মুহূর্তও দেরি করতো না শুভ কাজ সারতে। শুধু ভাস্কর্যই না, তালিবান বা আইসিস যা যা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল, তার সবই এরা করবে সময়-সুযোগ পেলে। কারণ তারা বাংলাদেশের তালেবান, বাংলাদেশের আইসিস। আদর্শতগতভাবে সম্পূর্ণ এক। তাদের বিপরীতে আছে ইনসাফের ইসলাম। আত্মিক ইসলাম। কল্যাণের ইসলাম। যেই ইসলাম আমাদেরকে শিক্ষা দেয় জ্ঞান অর্জনের, মানব কল্যাণের, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। এই মুহূর্তে আসলে শুধু বাংলাদেশের না, বিশে^র সকল মুসলিমদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইসলামের হেফাজতের কথা বলে যারা শান্তি বিনষ্ট করে তাদের হাত থেকে ইসলামকে কীভাবে হেফাজত করা যায়? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :