সালেহ্ বিপ্লব: [২] মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম দিনের বৈঠকে পরিবেশটা অনেক আন্তরিক ছিলো। সেদিন বৈঠকের ফাঁকে মন্ত্রীর সঙ্গে চা-নাস্তা খেয়েছিলেন কৃষক ইউনিয়নের নেতারা। তাকে পাল্টা নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজপথে অবস্থান নেয়া কৃষকদের লঙ্গরখানায়। পিটিআই
[৩] বৃহস্পতিবার দিল্লীর বিজ্ঞান ভবনে দ্বিতীয় দফার বৈঠকটি প্রথমদিনের চেয়ে দীর্ঘ হয়েছে, সব মিলিয়ে ৭ ঘণ্টা। দুপুরে খাবারের আয়োজনও ছিলো। কিন্তু কৃষক নেতারা নিজেদের খাবার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন, সরকারি খাবার খেতে আপত্তি তাদের। আর আপত্তির কারণটা পরিস্কার, সরকারের হাবভাবেই কৃষকরা বুঝে গেছে, দাবি আদায় কঠিন হবে। আনন্দবাজার
[৪] কৃষকদের প্রধান দাবি, ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য তারা চাইছেন, সম্প্রতি পাস হওয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিল করা হোক। প্রথম বৈঠকেই তাদের দাবিকে পাশ কাটিয়ে সরকার একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। এই কমিটি ওই তিন আইনের ধারা-উপধারা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে, কৃষকদের দাবি সঠিক কি না। সে প্রস্তাব মানেননি কৃষক ইউনিয়ন প্রতিনিধিরা, তাই বৈঠক দ্বিতীয় দিনে গড়ায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৫] বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তমারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগেই কৃষক নেতারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, শুধুমাত্র ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়ে নিশ্চয়তা দিলেই যে আন্দোলন উঠে যাবে, তা নয়। নয়া কৃষি আইন যতক্ষণ না প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। আনন্দবাজার
[৬] বৈঠকে কৃষক ইউনিয়ন নেতারা নতুন আইনের কোথায় কী গলদ রয়েছে, সেগুলো তুলে ধরেন। এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে তবে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এএনআই
[৭] শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়, আগামী ৫ ডিসেম্বর পরবর্তী আলোচনা বসবে।