বরিশাল প্রতিনিধি: [২] আট বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে হত্যা ও তার মরদেহ গুমের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
[৩] বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। হত্যা ও তার মরদেহ গুমের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালু বরিশাল নগরীর এয়াপোর্ট থানাধীন কাশিপুরের গনপাড়া এলাকার মৃত ওয়াহাব খানের ছেলে।
[৪] আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এই রায় প্রদান করেন।
[৫] আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। আট বছরের শিশু সীমাকে অপহরণের ঘটনায় যাবজ্জীবন, হত্যা ও মরদেহ গুমের ঘটনায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেড় লক্ষ টাকা ভুক্তভোগীর পরিবারকে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
[৬] মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ পূর্ব গণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সীমা আক্তার বিদ্যালয়ের শৌচাগার বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বাড়ির (কালুর বাড়ী) শৌচাগার ব্যবহারের জন্য যায়। এ সময় কালু ওই শিশুকে অপহরণ করে এবং ধর্ষণ করে। এরপর সীমাকে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে একই এলাকার হালিম মাস্টারের বাড়ির কবরস্থানে ফেলে রেখে যায়। ঘটনার দুই দিন পর ১৩ মার্চ ওই কবরস্থান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
[৭] এ ঘটনায় নিহতের মা মাহামুদা বেগম বাদী হয়ে আসামির নাম উল্লেখ করে নগরীর এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক আব্দুর রহমান মুকুল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ