আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] দক্ষিণ চীনের শেনজেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বড় স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। স্ক্রিনগুলো সবসময় রপ্তানির জন্য রাখা কিছু বাক্সের তাপমাত্রা প্রদর্শন করছে। সেখানে বেশ কিছু নিরাপত্তা কর্মী মাস্ক, সার্জিকাল গাউন এবং রবার গ্লাভস পরে কাজ করছেন। এই ওয়ারহাউজে কেউ প্রবেশ করলে তাকে দুই সপ্তাহের কোয়ারান্টাইনে যেতে হবে, যদি তিনি মাথা তেকে পা অব্দি হ্যাজম্যাট স্যুট পরে না থাকেন। সিএনএন
[৩] খুব দ্রুতই এসব তাপনিয়ন্ত্রিত ওয়ারহাউজ রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করোনা ভ্যাকসিনে ভরে যাবে। এর আগে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রককে তা অনুমোদন করতে হবে, যা খুব দ্রুতই করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এজন্য তাপনিয়ন্ত্রিত জেট লাইনার বুকিং দেয়াও শেষ করে ফেলেছে বেইজিং।
[৪] দু এক মাসের মধ্যেই শুরু হবে এয়ারলাইনগুলোর ইতিহাসের বৃহত্তম কার্গো অপারেশন। নিশ্চিতভাবেই যার একাংশ পরিচালনা হবে চীনের বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চীনের বৈশ্বির মর্যাদা। ভ্যাকসিন সরবরাহ করে তারা সেই ক্ষতি পূরণ করে নিতে চায়। চীন মনে করে, তাদের হাতেই অবসান হবে এই অতিমহামারীর।
[৫] এর বাইরেও চীন এই ভ্যাকসিনকে বিদেশনীতির একটি উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তারা সেসব দেশকেই ভ্যাকসিন প্রদান করবে, যাদের সঙ্গে সম্পর্ক বর্তমানে ভালো কিংবা ভবিষ্যতে ভালো হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা ইতোমধ্যেই একে ভ্যাকসিন রাজনীতি বলে আক্ষ্যা দিতে শুরু করেছেন।