ভূঁইয়া আশিক: [২] ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই শান্তি চুক্তিটি হয়েছিলো।
[৩] চুক্তির মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান হয়েছিলো। পাহাড়ে তার একটা ইতিবাচক প্রভাবও পড়তে শুরু করেছিলো। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই সেই চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। গত ২৩ বছরে এসব প্রশ্ন আর অভিযোগ ক্রমাগত আসছে।
[৪] নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, পার্বত্য চুক্তির বেশি দফাই বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু ভূমির মালিকানা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় উপজাতিদের মধ্যে একটা অসন্তোষ আছে।
[৫] তিনি বলেন, শান্তিচুক্তির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে, ব্যাপক বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। বৈষম্য বহুলাংশে কমে এসেছে। এখনও আইনশৃঙ্খলাজনিত সংকট আছে। সেটা সেভাবেই ট্যাকল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
[৬] মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, অনেক আশা-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ২৩ বছর আগে পার্বত্য চুক্তি হয়েছিলো। সকলের একটা ধারণা ছিলো, পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হবে। চুক্তির ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে যাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়িরা অস্ত্র সম্পর্ণ করলেও তাদের কান্না এখনো থামেনি। তাদের মতে, ভূমির অধিকার তারা ফিরে পায়নি।
[৭] তিনি বলেন, কখনো কখনো আমরা মনে করি, ভূমির অধিকার দেওয়া মাত্রই তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। একধরনের রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করবে। আমরা আসলে উদারতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :